গণতন্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না: মির্জা আজম

প্রকাশকালঃ ২০ মে ২০২৩ ০১:৩৩ অপরাহ্ণ ১৮৬ বার পঠিত
গণতন্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না: মির্জা আজম

ওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, অবৈধভাবে গঠিত বিএনপি আজ গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্র উদ্ধারের কথা বলে। গণতন্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন জিয়াউর রহমান। সপরিবারে হত্যার পর গভীর রাতে বঙ্গভবনে গিয়ে বিচারপতি সায়েমকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করিয়ে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন জিয়াউর রহমান।’

শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।


সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম বলেন, ১৯৮১ সালের ৩০ মে’র আগ পর্যন্ত জিয়াউর রমান যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন এদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিলেন। ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে অত্যাচার-নির্যাতন, গুম, খুনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আইভী রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। তাদের সময়ে দুর্বিষহ দিন কাটিয়েছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

তিনি বলেন, ‘আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, আন্দোলন করছেন। আওয়ামী লীগ তাদের বাধা দেয় না। এটাই গণতন্ত্র। এটাই বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মানবিকতা।’


আওয়ামী লীগের এ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘টানা ১৫ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে সবক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আজ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে, নারীর ক্ষমতায়ন বেড়েছে, সাধারণ মানুষ ভালো আছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা, আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ।’


এসময় যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘অতীতে যেভাবে রাজপথে থেকে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন, সামনের দিনগুলোতেও একইভাবে রাজপথে থেকে বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে।’

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকলে দেশে অগ্নিসন্ত্রাস, খুন, গুম, রাহাজানি বৃদ্ধি পায়। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে না।’


তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা জনগণের পাশে আছি, তাদের বিপদে-আপদে সহায়তা করছি, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত। আর সেই কারণেই আজকের এই শান্তি সমাবেশ। বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিগোষ্ঠী যেন মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধন, তাদের শান্তি নষ্ট করতে না পারে সেদিকে যুবলীগের নেতাকর্মীদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু। আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, এবিএম আরিফ হোসেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, হারুনুর রশীদ হারুন, নাজমুল হোসেন টুটুল, আবু সাঈদ মোল্যা, সৈয়দ আহমেদ, মুরসালিন আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মো. মাকসুদুর রহমান, কাজী ইব্রাহিম খলিল মারুফ, প্রচার সম্পাদক আরমান হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ সায়মন, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক আলতাফ হোসেন, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ফালান, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।