চরফ্যাশনে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধির  লক্ষ্যে প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশকালঃ ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:০৭ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
চরফ্যাশনে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধির  লক্ষ্যে প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা প্রেস
জহিরুল ইসলাম লিটন,বিশেষ প্রতিনিধি (ভোলা):-



ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


সোমবার (২ ডিসেম্বর)  সকালে চরফ্যাশন উপজেলা  মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। নারীপক্ষের  অধিকার এখানে, এখনই প্রকল্পের আওতায় ইয়ূথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ ও তারুণ্যের কন্ঠস্বর প্ল্যাটফর্ম ভোলা এর যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করেন।


 



এতে প্রধান অতিথি হিসেবে  উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন  চরফ্যাশন উপজেলার  নির্বাহী অফিসার রাসনা শারমিন মিথি।


উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা  আরাফাত মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘ইয়ূথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ’ এর নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক  আদিল হোসেন তপু।এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো মহিউদ্দিন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. নুরনবী, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. মামুন,কোস্ট ফাউন্ডেশন এর টিম লিডার রাশিদা বেগম, প্রভাষক মো জুলকার নাঈম,তারুণ্যের কন্ঠস্বর প্ল্যাটফর্মের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো: নোমান
সহ যুব উন্নয়ন প্রতিনিধি, সাংবাদিক,কিশোর-তরুন-তরুনীরা উপস্থিত ছিলেন। 


এসময় বক্তরা বলেন,বাংলাদেশে মোট জনসংখার প্রায় এক-চতুর্থাংশ কিশোর-কিশোরী। এদের মধ্যে কৈশোরকালে সন্তান জন্মদানের হার এখনো অনেক বেশি। মোট বার্ষিক জন্মের প্রায় এক-চতুর্থাংশ সন্তান জন্ম দিচ্ছে কিশোরী মায়েরা। এদের শিক্ষা, জীবন-দক্ষতা ও স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করছে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। আর এর জন্য সবার আগে চাই সচেতনতা। তাই আমরা কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতন করতে হবে। 


এসময় বক্তরা বলেন, উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে কিশোর-কিশোরীদের কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি। প্রত্যন্ত এলাকার অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা মেয়েদের বাল্য বিয়ে দিয়ে থাকে। ফলে কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যহত হয়। তাই মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে বয়ঃসন্ধিকাল, মাসিক, যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক সঠিকভাবে পাঠদান নিশ্চিত করার কথা জানান। পাশাপাশি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে কিশোর-কিশোরী কর্নার কেন্দ্রিক সেবাদানকারীদের আন্তরিক হওয়ার কথা বলেন। 


বক্তারা কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাল্য বিয়ে রোধ করতে পারলে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাবে বলে মতামত প্রকাশ করেন। তাই এ বিষয়ে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।