দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও বাংলাদেশে আলু রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট এবং দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা রোববার (১ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে। পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও আলু আমদানি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
আলু আমদানি বন্ধ হওয়ার ফলে দেশের বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে ভারতীয় বন্দরের পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা।
অন্যদিকে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করতে পারে এমন খবরে পেঁয়াজের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে এখন ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ধরনের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি বাজারের পাইকারদের বিপাকে ফেলেছে।
হিলি স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসএম রেজা আহমেদ বিপুল বলেন, "হঠাৎ আলু আমদানি বন্ধ হওয়ায় আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। প্রচুর পরিমাণ এলসি করা থাকায় আমদানির অর্থ ও বুকিং নিয়ে উদ্বেগে রয়েছি।"
হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আলু রপ্তানি বন্ধ করতে অনলাইন স্লট বুকিং স্থগিত করেছে, যার ফলে রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
হিলি কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, "বন্দরে আসা সকল কাঁচাপণ্যের দ্রুত ছাড়করণ এবং অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।" তিনি আরও জানান, শনিবার ও রোববার—এই দুই দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩২ ট্রাকে ৯২৩ টন পেঁয়াজ এবং ৬৬ ট্রাকে ২,০৩৫ টন আলু আমদানি করা হয়েছে।
আলু রপ্তানি বন্ধের এ সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে, যা ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভোক্তাদের জন্যও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।