ধনী-গরীব একসাথে সুখ দুঃখ ভাগ করে জীবন কাটাবো ঈদ আনন্দে শিরোনামে মানবিক আনিস

প্রকাশকালঃ ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:২৯ অপরাহ্ণ ৩২০ বার পঠিত
ধনী-গরীব একসাথে সুখ দুঃখ ভাগ করে জীবন কাটাবো ঈদ আনন্দে শিরোনামে মানবিক আনিস

মো:আমিনুল ইসলাম (রিপন) :-
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার, বাঙ্গরা বাজার থানাধীন ২২ নং টনকি ইউনিয়নের চৌনপুর গ্রামের কৃতি সন্তান আনিসুর রহমান, ২০২২ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের ব্যনারে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২২ নং টনকি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন,নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে হেরে জান তিনি,এই হেরে যাওয়াই ছিলো তার জীবনের সবচেয়ে বড়ো জয়।


নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী করতে ২২ টনকি ইউনিয়নের প্রতিটা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি  যেতে হয়েছে আমার,সেই সুবাদে ধনী,গরীব,অসহায়,অবহেলিত,দরিদ্র পরিবারের মানুষ গুলো কেমন আছেন তা নিজের চোখে দেখতে পেরেছি এবং তাদের সাথে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে প্রয়োজন কি তা জানতে পেরেছি,সবশেষে আমার করনীয় কি তা বুঝতে পেরেছি।হয়তো নির্বাচনে না আসলে আমার ইউনিয়নের এই অন্ধকারে থাকা গল্পটি,আমার মাঝে অন্ধকারই হয়ে থাকতো।

সমাজের ধনী মানুষ গুলোর পাশাপাশি অবহেলিত,অসহায়, হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ গুলোর জীবন কতটা কষ্টের হয় তা নিজচোখে না দেখলে কখনো কারো বুঝার সাধ্য নাই,সমাজে এতো নামীদামী ধনী ব্যাক্তী থাকার সত্যেও তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই,সেই থেকে মানবতার সেবায় শুরু হয় আনিসুর রহমানের নতুন পথচলা,তিনি বলেন এই পৃথিবীতে অসহায়,দরিদ্র,অবহেলিত মানুষ গুলোর সুখ দুঃখ গুলো ভাগাভাগি করে পাশে থেকে মানবিক সেবা দেওয়ার মতো সুখ-শান্তি,আনন্দেরমতো দ্বিতীয় একটা নেই,তাই আনিসুর রহমান বলেন আল্লাহর দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া গাপন করছি,আমার মতো একজন পাপী বান্দাকে এই পৃথিবীর বুকে সমাজে বসবাসরত অসহায়,দরিদ্র, অবহেলিত মানুষ গুলোর পাশে থেকে সুখ দুঃখের ভাগাভাগি করে মানব সেবার মতো এতো বড়ো একটি দায়িত্ব দিয়েছেন তাই নির্বাচনে হেরে যাওয়াটাকে আমি মনে করি এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড়ো বিজয়,সবার কাছে এখন তার পরিচয় "মানবতার ফেরিওয়ালা" আবার কারু কাছে মানবিক আনিস,আবার কেউ কেউ বলেন গরীব দুঃখী মানুষের মাথার ছাতা।প্রতিবারের নেয় এইবারো "ধনী-গরীব একসাথে সুখ দুঃখ ভাগ করে জীবন কাটাবো ঈদ আনন্দে" শিরোনামে ০৬/০৪/২০২৪ ইং শনিবার ২২ নং টনকি ইউনিয়নের সর্বস্তরের অসহায়, দরিদ্র পরিবারের সদস্যেদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করেন।এছাড়াও যেকোনো সেবামূলক কার্যক্রমে আনিসুর রহমান থাকেন সবার আগে।

আপনার মানবিক সেবামূলক কার্যক্রম কতোদিন চলবে,এমন এক প্রশ্নের উত্তরে ২২ নং টনকি ইউনিয়ন বাসিকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা (ঈদ মোবারক) জানিয়ে তিনি বলেন মহান সৃষ্টি কর্তা যদি সহায় থাকেন শেষ বিদায়ের আগপর্যন্ত আমার এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।
আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার পরিকল্পনা আছে কি এমন এক প্রশ্নের উত্তরে আনিসুর রহমান বলেন,আমি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেই তাদের কথা যাদের কাছে আমি মানবিক আনিস,যারা আমাকে বলেন মানবতার ফেরিওয়ালা,অপেক্ষা করুন সময়সাপেক্ষ এই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছ থেকেই পাবেন।