ঢাকা প্রেস
নওগাঁ প্রতিনিধি:-
নওগাঁয় বলাকা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। একই সাথে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ্যা নেওয়াসহ ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে উঠা প্রত্যেকটি অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য বিভাগকে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
গত রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সিভিল সার্জনের সাথে ঘন্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁর সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী।
এর আগে শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে শহরের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় অবস্থিত ওই ক্লিনিকে রক্ত কেনাবেচা চক্রের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে বণিক বার্তা ও ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি আরমান হোসেন রুমন এবং জাগোনিউজের জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম শামীম হামলার শিকার হন। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিভিন্ন পোস্টে স্থানীয় ছাত্র-জনতা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে।
সিভিল সার্জনের সঙ্গে বৈঠকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় আইনজীবি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বলাকা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অপকর্মের বিষয়গুলো তুলে ধরে ক্লিনিকটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা।
ফজলে রাব্বী বলেন, ছাত্র-জনতার বিজয়ে যেসকল গণমাধ্যমকর্মী বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশ করেছেন তাঁদের উপর হামলা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। রক্ত কেনাবেচা চক্রের যারা এ হামলা চালিয়েছে তাঁদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। ওই ক্লিনিকের অব্যবস্থ্যাপনায় এ যাবত পর্যন্ত যতগুলো রোগীর মৃত্যু ঘটেছে তাঁর প্রত্যেকটি ঘটনা ক্ষতিয়ে দেখার দাবী জানানো হয়েছে।
ফজলে রাব্বী আরও বলেন, নওগাঁয় রোগীদের জিম্মি করে আর কোন ক্লিনিক মালিককে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। আমাদের দাবী লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থ্যা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সিভিল সার্জন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁর সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলা, অবৈধভাবে রক্ত কেনাবেচা, রোগীদের সাথে প্রতারণাসহ অব্যবস্থ্যাপনায় রোগীদের মৃত্যুর বিষয়ে বলাকা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এনেছিলো শিক্ষার্থীরা। অভিযোগগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।