বরিশালের বাবুগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের গরু বিতরণে হট্টগোল: আটটি গরু ছিনতাই

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৫ মার্চ ২০২৫ ১২:৪৪ অপরাহ্ণ   |   ১০১ বার পঠিত
বরিশালের বাবুগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের গরু বিতরণে হট্টগোল: আটটি গরু ছিনতাই

বরিশাল ব্যুরো:-

 

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলেদের গরু বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতাকর্মীরা হট্টগোল করেছেন। এ ঘটনায় তারা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে নাজেহাল করে আটটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে যান। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।
 

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিএনপি নেতারা গরু বিতরণের সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কারণ তারা আগে থেকে জিজ্ঞেস করা হয়নি কেন গরু বিতরণ করা হচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুস সালেহীন তাদের আশ্বস্ত করেন যে, ভবিষ্যতে কোনো কার্যক্রম তাদের মতামত ছাড়া হবে না। এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে মৎস্য কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
 

এ ঘটনায়, মৎস্য অফিসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা আটটি গরু নিয়ে যান এবং একটি তালিকা প্রদান করেন যাতে পরবর্তীতে ওই তালিকার অনুযায়ী গরু বিতরণ করা হবে।
 

এদিকে, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আগের তালিকাভুক্ত ৮০ জেলের মধ্যে মঙ্গলবার একটি করে গরু বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ দুপুরে ৪৮টি গরু সুবিধাভোগীদের হাতে হস্তান্তর করেন। এরপর বিএনপির নেতারা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলে।
 

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, বিএনপি নেতারা সবার সামনে গালাগালি করে এবং ভিডিও করার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। গোপনে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক নেতা মৎস্য কর্মকর্তাকে বলেন, "গরু দেওয়ার বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়নি, আপনি আওয়ামী লীগের লোককে গরু দিচ্ছেন।" অপর এক নেতা মৎস্য কর্মকর্তাকে বলেন, "আপনি জামায়াতের লোক নিয়ে জেলে কার্ড করছেন, বিএনপির লোক গেলে বলছেন চলে যান।" এ সময় মৎস্য কর্মকর্তা তাদের বসতে বললে বিএনপি নেতারা উত্তেজিত হয়ে বলেন, "আপনি আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা।"
 

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ফারুক প্রথমে দাবি করেন যে, মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের কোনো সমস্যা হয়নি, তবে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী গরু বিতরণ হচ্ছিল। ভিডিওচিত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "ভিডিওতে যা দেখেছেন, তা-ই ঘটনা, এর বেশি কিছু হয়নি।"
 

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অহিদুল ইসলাম প্রিন্সও একই দাবি করেছেন, যে তারা শুধুমাত্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন কারণ গরু বিতরণে আওয়ামী লীগের লোকজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল।
 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, তিনি গরু বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে অন্য একটি অনুষ্ঠানে চলে গেছেন, এবং পরে সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানেন যে সেখানে সমস্যা হয়েছে।