আরও দীর্ঘ হলো জুলাই শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের তালিকা, দ্বিতীয় ধাপের গেজেট প্রকাশ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৮ জুলাই ২০২৫ ০৩:২৯ অপরাহ্ণ   |   ৩৬ বার পঠিত
আরও দীর্ঘ হলো জুলাই শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের তালিকা, দ্বিতীয় ধাপের গেজেট প্রকাশ

জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের তালিকা আরও দীর্ঘ হয়েছে। নতুন করে আরও ১০ জনকে ‘জুলাই শহীদ’ এবং ১ হাজার ৭৫৭ জনকে আহত যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়।
 

সোমবার (২৮ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত গেজেটটি প্রকাশিত হয়। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, যাচাই-বাছাই শেষে দ্বিতীয় ধাপে ১০ জন শহীদ এবং ১ হাজার ৭৫৭ জন আহত জুলাই যোদ্ধার তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
 

নতুন গেজেটে ১০ জন শহীদের পাশাপাশি ‘ক’ ক্যাটাগরিতে (অতি গুরুতর আহত) ১০৯ জন, ‘খ’ ক্যাটাগরিতে (গুরুতর আহত) ২১০ জন এবং ‘গ’ ক্যাটাগরিতে (আংশিক আহত) ১ হাজার ৪৩৮ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
 

আঞ্চলিকভাবে আহত যোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছেন—

  • ঢাকা বিভাগ: ৪০৫ জন

  • খুলনা বিভাগ: ১৬৬ জন

  • চট্টগ্রাম বিভাগ: ২২৬ জন

  • বরিশাল বিভাগ: ১১৬ জন

  • ময়মনসিংহ বিভাগ: ১১১ জন

  • রংপুর বিভাগ: ৯০ জন

  • রাজশাহী বিভাগ: ২৩৬ জন

  • সিলেট বিভাগ: ৮৮ জন
     

এর আগে প্রথম ধাপে ১২ হাজার ৮৭৭ জন জুলাই শহীদ ও আহত যোদ্ধার তালিকা গেজেটভুক্ত করেছিল মন্ত্রণালয়।
 

শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা

বিধিমালা অনুযায়ী, প্রত্যেক শহীদ পরিবারের জন্য এককালীন ৩০ লাখ টাকা অনুদান বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭৭২টি শহীদ পরিবারের প্রতিটি পরিবারকে উত্তরাধিকার আইন অনুসারে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়েছে, যার মোট পরিমাণ ৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। বাকি ৭২টি শহীদ পরিবারের সঞ্চয়পত্র প্রদানের কাজ পারিবারিক ও ওয়ারিশগত জটিলতা নিরসনের পর সম্পন্ন করা হবে।
 

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে অবশিষ্ট ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ ছাড়া শহীদ পরিবারের জন্য মাসিক ২০ হাজার টাকা করে ভাতা নির্ধারিত রয়েছে।
 

পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের উদ্যোগ

আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনায় প্রশিক্ষণ দিয়ে উপার্জনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
 

এছাড়া অনলাইনভিত্তিক ভাতা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে একটি সমন্বিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (MIS) তৈরি ও বাস্তবায়নের কাজ চলছে, যা শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের জন্য একটি সমৃদ্ধ তথ্যভাণ্ডার হিসেবে কাজ করবে।