সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের তিন দিনের রিমান্ড

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৪:৩৮ অপরাহ্ণ   |   ৮১ বার পঠিত
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের তিন দিনের রিমান্ড

ঢাকা প্রেস,পঞ্চগড় প্রতিনিধি:-



পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এক যুবককে হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনায় সাবেক রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় মামলার শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদা আকতার জুলিয়েট রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
 

এর আগে, সাবেক রেলমন্ত্রীকে আদালতে আনার সময় সকাল থেকেই পুলিশ কড়া নিরাপত্তা জোরদার করে। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সুজনকে আদালতে নিয়ে আসা হলে, আদালত চত্বরে জড়ো হওয়া লোকজন 'ভোট চোর ভোট চোর' স্লোগান দিতে থাকে। ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মামলার শুনানি চলে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে, আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
 

মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আদম সুফি, জিপি আব্দুল বারী, এপিপি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, এপিপি মোস্তাফিজুর রহমান আইনজীবী হাবীব আল আমিন ফেরদৌসসহ অন্তত ১০ জন অংশগ্রহণ করেন।
 

এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী মির্জা সারোয়ার হোসেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি আমিনুর রহমান, আজিজার রহমান আজু, আবু বক্কর সিদ্দিক, আলী আসমান বিপুলসহ ১০-১৫ জন অংশ নেন। মির্জা সারোয়ার হোসেন জানান, রিমান্ড আবেদন শুনানির সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ঘটনার সময় সুজন মোবাইল ফোনে গুম এবং পরে হত্যার নির্দেশ দেন। তবে, তারা শুনানিতে বলেন, বর্তমান প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই রেকর্ড বের করা সম্ভব। মামলার বাদী এক এফিডেভিটে বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে সুজনকে চেনেন না এবং তার সঙ্গে কোন শত্রুতা নেই। জামিনের আবেদন করা হলেও আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদম সুফি বলেন, ভিকটিমের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, তাই রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামির রিমান্ড প্রয়োজন ছিল। আদালত তা উপলব্ধি করেছেন। তিনি আরও বলেন, আসামিপক্ষের দেওয়া এফিডেভিটে কোনো সাক্ষীর সাক্ষর নেই, যা সন্দেহজনক। তিনি আশা করেন, মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
 

এর আগে, নুরুল ইসলাম সুজনকে গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পঞ্চগড় জেলা কারাগারে কড়া নিরাপত্তায় স্থানান্তর করা হয়।
 

উল্লেখ্য, পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণের পর ৫ আগস্ট গুম হন আল আমিন। তার বাবা মনু মিয়া ১০ নভেম্বর সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমের মামলা দায়ের করেন, এতে আরও ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।