বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, শুধু বিএনপিই নয়, জামায়াতেও চাঁদাবাজ রয়েছে। কিন্তু জামায়াত কখনোই তা স্বীকার করে না। বরং বিএনপিকেই পরিকল্পিতভাবে ‘চাঁদাবাজ’ ট্যাগ দিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, “আমরা অস্বীকার করিনি, বরং স্বীকার করেছি। আমি তো বিএনপির পদধারী কর্মী, আমি নিজেই টকশোতে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ তুলেছি। চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি থেকে প্রায় ৪৫০০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের কেউ কেউ পরে জামায়াতে যোগ দিয়েছে, যেটি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াতও ৬৫০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে। তবে বিএনপির ৪৫০০ জন বহিষ্কার আর জামায়াতের ৬৫০ জন বহিষ্কারের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। কারণ বিএনপি একটি বৃহৎ দল, যাকে অনেকে ভবিষ্যতের ক্ষমতাসীন দল ভেবে যোগ দিতে চায়। ফলে নানা ধরণের মানুষ এখানে আসে। কিন্তু জামায়াত তো দাবি করে তারা সৎ ব্যক্তির শাসন চায়। তাহলে তাদের মধ্যেই ৬৫০ জন চাঁদাবাজ বের হলো কীভাবে?”
শরিয়া আইন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “শরিয়া আইনে তো অচেনা-অজানা নারীর সম্পর্কে যা-তা বলা যায় না। কিন্তু বাস্তবে জামায়াতের নেতাকর্মীরা তা-ই করছে। এখানেই তাদের দ্বিচারিতা স্পষ্ট।”
রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, বিএনপিকে টার্গেট করে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “একটি মিথ্যা বারবার বলা হলে মানুষ তা বিশ্বাস করতে শুরু করে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পুরোপুরি ফার রাইটদের দখলে। তারা শুধু গালিগালাজই করছে না, বরং ছোট ছোট নিউজ পোর্টাল খুলে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। অথচ বিএনপি কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় শক্ত অবস্থান নিতে পারছে না, সেটি আমার কাছে প্রশ্ন।”