বিএনপির বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেরাও কর্মসূচি প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ওরা তো বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এবার যদি সেটা করে তাহলে জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও প্রস্তুত আছে। তারা তো মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারেনি।
তারেক রহমান খাম্বা ইন্টারন্যাশনাল কম্পানি করে বিদ্যুতের খাম্বা বানিয়েছিল, বিদ্যুৎ না দিয়ে শুধু খাম্বা লাগিয়েছিল। আমি আশা করব তারা যখন বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেরাও করতে যাবে তখন প্রতীকী হিসেবে খাম্বা নিয়ে যাবে।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখন ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় ছিল।
এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। শুধু বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় না। আজ থেকে সাড়ে ১৪ বছর আগে মানুষ গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ দিয়ে বড় জোর ফ্যান চালাত আর লাইট জ্বালাত। এখন গ্রামে গ্রামে এসি, রেফ্রিজারেটর, মসজিদে এসি, ধর্মীয় উপাসনালয়ে এসি চলছে। ইজিবাইক, পেসারকুকার, রাইসকুকার সবগুলো বিদ্যুৎ সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের একশভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা এবং বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে বহুমাত্রিক সুবিধা দেওয়া এটি বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর একটি বিরাট সাফল্য। এই সাফল্য মাঝেমধ্যে একটু বিদ্যুৎ চলে যেভাবে উসখুস করছি আমরা এতবড় সাফল্য সেটাতে তো, আমি মনে করি মানুষ আগের তুলনায় ভালো আছে।
বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে হাছন মাহমুদ বলেন, বিদ্যুতের অসুবিধা এটি জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এক সেকেন্ডের জন্য কখনো বিদ্যুৎ যায়নি, সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিদ্যুতের রেশনিং করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে সবাইকে এসএমএস করে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করে ব্যবহার করার জন্য।
সুতরাং এই অসুবিধা সাময়িক। বরং আমাদের সরকার শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনেছে, বিদ্যুৎ সুবিধা নিয়ে মানুষ এখন বহুমান্ত্রিক সুবিধা পাচ্ছে, বিদ্যুতের বহুমাত্রিক ব্যবহার হচ্ছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত কর্মসূচি ঘোষণা করছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্মসূচি ঘোষণা করবে এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচি কিন্তু সহিংসতা করার লক্ষ্যেই সাজাচ্ছে বলে আমরা মনে করি। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশে গণ্ডগোল তৈরি করা, বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা, পানি ঘোলা করা, পানি ঘোলা করে সেখান থেকে মাছ শিকার করা। সেখান থেকে তারা সেই সুযোগ পাবে না।