সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন,
“উত্তরার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি—তিনি যেন সবাইকে হেফাজতে রাখেন।”
এর আগে, দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই (৭০১) মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরার দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের মাঠে বিধ্বস্ত হয়। উড্ডয়নের মাত্র ১২ মিনিট পরই বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে আগুন ধরে যায় এবং আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিমানটিতে ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির।
আইএসপিআর জানায়, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল। বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে ১টা ১৮ মিনিটে।
দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিরাপদে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৬০ জনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে বলেও জানা গেছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।