সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ আগামী বুধবার, ৩ মে ২০২৪ সালে আরব আমিরাতের ফুজাইরার বন্দর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
জাহাজের ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চুনাপাথর বোঝাই শেষে জাহাজটি ২৪ এপ্রিল, মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় ২৩ নাবিক সহ মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে।
বর্তমানে এটি ফুজাইরার বন্দরের পথে রয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে জাহাজটি মঙ্গলবার রাত ৮ টায় ফুজাইরার বন্দরে নোঙর করবে।
সেখান থেকে জ্বালানি সংগ্রহ শেষে বুধবার চট্টগ্রামের পথে যাত্রা শুরু করবে।
ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদ আরও বলেছেন, "সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী **১৩ মে বিকেলে এমভি আব্দুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে কুতুবদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দরে নোঙর করবে। সেখানে লাইটার বা ছোট জাহাজে পণ্য খালাস করা হবে। কুতুবদিয়া থেকে নাবিকরা চট্টগ্রাম কিভাবে ফিরবেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।"
জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং এর প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বলেছেন, "দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস শেষে মিনা বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই করা হয়। এরপর অন্য বন্দর থেকে জ্বালানি নিয়ে চট্টগ্রামের পথে রওনা হবে এমভি আব্দুল্লাহ। সাথে ২৩ নাবিকও চট্টগ্রাম ফিরবেন।"
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কয়লাবোঝাই এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
এ সময় জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককেও জিম্মি করা হয়।
নাবিকদের উদ্ধারে নানা চেষ্টা করা হয়। চলে কূটনৈতিক তৎপরতাও। কিন্তু অগ্রগতি আসতে সময় লাগছিল।
গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত মধ্যরাতে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। ২১ এপ্রিল জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করে।