আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ফজর আলীর ঘনিষ্ঠতা, ভাইরাল ছবিতে আলোচনার ঝড়

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৯ জুন ২০২৫ ০৭:০২ অপরাহ্ণ   |   ৭৫ বার পঠিত
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ফজর আলীর ঘনিষ্ঠতা, ভাইরাল ছবিতে আলোচনার ঝড়

অনলাইন ডেস্ক:-


 

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ফজর আলীকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বাঁধছে। ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে, যা জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
 

শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যার পর ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে দেখা যায়—ফজর আলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকনের সঙ্গে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। কোনো ছবিতে তারা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন, আবার কোনো ছবিতে দেখা যায়, তারা একত্রে খাবার খাচ্ছেন বা মিছিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটছেন।
 

ঘটনার পর ফজর আলীকে বিএনপির কর্মী হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করা হলেও স্থানীয়রা তা অস্বীকার করেছেন। বরং তার আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই।
 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফজর আলী আগে কোনো নির্দিষ্ট পেশায় যুক্ত ছিলেন না। তবে তিনি নিয়মিত চেয়ারম্যান খোকনের সঙ্গে চলাফেরা করতেন এবং আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মসূচি ও টেন্ডার কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। কিছু সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের পর তিনি বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন।
 

এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আল আমিন বলেন, "ফজর আলী দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি চেয়ারম্যান খোকনের বডিগার্ড হিসেবেই পরিচিত। আন্দোলনের পর খোকনের সঙ্গে তার যোগাযোগ কিছুটা কমে গেলেও বিএনপির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।"
 

ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকন বলেন, "আমি ফজর আলীকে খুব একটা চিনি না। আমি একজন জনপ্রতিনিধি—অনেকেই আমার সঙ্গে ছবি তোলে, এ নিয়ে বলার কিছু নেই।"
 

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জনও বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, "ফজর আলী আওয়ামী লীগের কর্মী, বিএনপির কেউ নন। তাকে বিএনপির সঙ্গে জড়ানোর অপচেষ্টা চলছে, যা ভিত্তিহীন।"
 

উল্লেখ্য, ২৬ জুন রাতে বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে ২৫ বছর বয়সী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ফজর আলীর বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ এই ঘটনায় চারজনকে ভিডিও ছড়ানোর দায়ে আটক করে এবং মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লায় নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী নারী দুবাইপ্রবাসী স্বামীর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী।