সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে আরও ৪টি গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০৩ অপরাহ্ণ   |   ১০৭ বার পঠিত
সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে আরও ৪টি গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. জাকির হোসেনকে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার চারটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে হাজির করলে তাকে চারটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট আমলি আদালত।
 

জাকির হোসেনের আইনজীবী খাদিমুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি এই আইনজীবী।
 

অ্যাডভোকেট খাদিমুল হাসান বলেন, ‘রবিবার আদালতে নেওয়া হলে রৌমারী থানার চারটি মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’
 

রৌমারী থানা সূত্রে জানা গেছে, জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দুটি ও হামলার অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে। এসব মামলা ছাড়াও একটি এনজিআর (জিডির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভবকৃত) মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাকির হোসেনের আইনজীবী। এসব মামলা আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দায়ের করা হয়। 
 

এর আগে ২০২৪ সালের ২৪ অক্টোবর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সে সময় ডিএমপি জানায়, সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সেই থেকে তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) তাকে কুড়িগ্রাম কারাগারে নেওয়া হয়।
 

কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার এ জি মামুদ বলেন, ‘সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে গত শুক্রবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কুড়িগ্রাম কারাগারে নেওয়া হয়। রবিবার হাজিরা শেষে আদালত তাকে আবারও কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠিয়েছেন। তবে আমাদের এখানে ডিভিশন ওয়ার্ড না থাকায় তাকে কুড়িগ্রাম কারাগারে রাখা হবে নাকি ঢাকায় পাঠানো হবে তা আদালতের নির্দেশনার ওপর নির্ভর করছে।’
 

প্রসঙ্গত, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বাসিন্দা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। প্রতিমন্ত্রী ও দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকাকালে তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন তার দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে জানা গেছে।