রাজধানীর উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে ৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও পরিবারগুলো স্মারকলিপি জমা দিতে ব্যর্থ হন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে একাডেমিক ভবনের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে নিহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমার মামা লিয়ন মীর অভিযোগ করে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে স্মারকলিপি নেয়নি।
তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিভাবকেরা একসঙ্গে প্রবেশের চেষ্টা করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাই স্মারকলিপি গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল বলেন, “আমরা তাদের তিন-চারজনের প্রতিনিধিদলকে স্মারকলিপি দিতে বলেছিলাম। কিন্তু বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ায় তা গ্রহণ করা যায়নি। কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবির প্রতি সহমর্মী এবং দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।”
১. ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের নিশ্চয়তা।
২. মাইলস্টোনসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ।
৩. সরকারের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ কোটি এবং আহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ।
৪. স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে ২ কোটি এবং আহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ।
৫. রানওয়ে সংলগ্ন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়া, প্রয়োজনে রানওয়ের অবস্থান পরিবর্তন।
৬. কোচিং ব্যবসার অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা খাদিজাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ ও বিচারের আওতায় আনা।
৭. ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সামনে প্রদর্শন।
৮. বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জনবসতিহীন এলাকায় স্থানান্তর।