দেশীয় বাজারে আলুর দাম কিছুটা কমেছে। এর প্রধান কারণ হল ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হওয়া। কম শুল্ক আরোপের ফলে আমদানিকারকরা আলু আমদানিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। যার ফলে দেশীয় বাজারে আলুর সরবরাহ বাড়ছে এবং দাম কমছে।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হওয়ার পর দেশীয় বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। বর্তমানে দেশীয় বড় জাতের আলু ৪২ থেকে ৪৫ টাকা এবং ছোট জাতের আলু ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, বন্দরে ভারতীয় আলু ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরকার কম শুল্ক আরোপের ফলে আমদানিকারকরা আলু আমদানিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এতে দেশীয় বাজারে আলুর সরবরাহ বাড়ছে এবং দাম কমছে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে আলু আমদানির ফলে দাম কিছুটা কমলেও, দেশীয় আলুর দাম এখনও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। তারা দাম আরও কমার আশা করছেন।
আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, তারা প্রচুর পরিমাণে আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন এবং আগামী দিনগুলোতে আমদানি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে দাম আরও কমতে পারে।
সাধারণ মানুষ দাম কমার বিষয়ে স্বস্তি অনুভব করলেও, তারা দাম আরও কমার দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, দাম যদি আরও কম হয় তাহলে সংসার চালাতে অনেক সুবিধা হবে।
আলুর দাম কমার এই ঘটনা দেশের অর্থনীতির ওপর কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, আলু দৈনন্দিন জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান। দাম কমলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে এবং এতে করে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার গতিশীল হতে পারে।
ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হওয়া এবং সরকারের কম শুল্ক আরোপের ফলে দেশীয় বাজারে আলুর দাম কমেছে। এটি সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির খবর। তবে, দাম আরও কমার জন্য সরকারকে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।