একদল চলে গেলে আরেকদল এসে আবার চাঁদা দাবি করছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশকালঃ ১৭ আগu ২০২৪ ০৫:০৬ অপরাহ্ণ ৪১৬ বার পঠিত
একদল চলে গেলে আরেকদল এসে আবার চাঁদা দাবি করছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ঢাকা প্রেস নিউজ


বাংলাদেশে চাঁদাবাজির সমস্যা এখনও ব্যাপকভাবে বিদ্যমান। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি ইঙ্গিত দেয় যে, একদল চলে গেলে আরেকদল এসে আবার চাঁদা দাবি করছে

বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এই সমস্যা মূলত সিন্ডিকেট ব্যবস্থা, দুর্বল আইন প্রয়োগ এবং সুশাসনের অভাবের ফলে সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়েও এই সমস্যার প্রতি সচেতনতা রয়েছে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

চাঁদাবাজির ব্যাপকতা: বাণিজ্য উপদেষ্টার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, চাঁদাবাজি বাংলাদেশের বাণিজ্য ও ব্যবসায়ের বিভিন্ন খাতে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি কেবল ব্যবসায়ীদের জন্যই নয়, সাধারণ জনগণের জন্যও একটি বড় সমস্যা।

সিন্ডিকেটের ভূমিকা: সিন্ডিকেট ব্যবস্থা চাঁদাবাজির জন্য একটি উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে। এই ব্যবস্থায় কয়েকটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বাজার নিয়ন্ত্রণ করে এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীদের থেকে অর্থ আদায় করে।

আইন প্রয়োগের দুর্বলতা: চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আইন থাকলেও, তা কার্যকরভাবে প্রয়োগ না হওয়ায় এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।

সুশাসনের অভাব: সুশাসনের অভাব চাঁদাবাজির মতো অবৈধ কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয়। দুর্নীতি, অনিয়ম এবং স্বজনপ্রীতির কারণে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
 

সমাধানের পথ:

  • কঠোর আইন প্রয়োগ: চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।
  • সিন্ডিকেট ব্যবস্থা ভাঙা: সিন্ডিকেট ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে এবং বাজারকে স্বচ্ছ করার মাধ্যমে সিন্ডিকেট ব্যবস্থাকে দুর্বল করা সম্ভব।
  • সুশাসন প্রতিষ্ঠা: দুর্নীতি, অনিয়ম এবং স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
  • সচেতনতা বৃদ্ধি: সাধারণ মানুষকে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলতে হবে। চাঁদাবাজির শিকার হলে তাদেরকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
  • সরকারি সংস্থার সমন্বয়: চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি।

 

বাংলাদেশে চাঁদাবাজির সমস্যা দীর্ঘদিনের এবং জটিল। এই সমস্যার সমাধানের জন্য সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সাধারণ মানুষ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি সুশাসিত এবং স্বচ্ছ সমাজ গড়ে তোলা জরুরি।