মঈনুদ্দীন শাহীন (উখিয়া উপজেলা প্রতিনিধি):-
ঢাকা প্রেসঃ
বাংলাদেশের- মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবি সদস্যদের সাথে চোরকারবারিদের গোলাগুলির ঘটনায় নেজাম উদ্দিন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত নেজামের বাড়ী কক্সবাজারের খুরুষ্কুলে ইউনিয়নে।
সোমবার ভোরে বাংলাদেশ মিয়ানমারের গর্জনিয়া সীমান্ত পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকাল ৩টার দিকে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানানো হয়, নিহত নেজাম উদ্দীন একাধিক হত্যা ও অপহরণ মামলার আসামী। চিহ্নিত চোরাকারবারি নেজাম ডাকাতের নেতৃত্বে শতাধিক দুষ্কৃতিকারী বিজিবির টহল দলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা ৫০ থেকে ৬০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা পেট্রোল বোমা ছোড়ে। এ সময় নেজাম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।
বিজিবি'র এ অভিযানে ৯৮ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট এবং ২০ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে গর্জনিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বিজিবির সঙ্গে চিহ্নিত চোরাকারবারিদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিজিবির তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের নেজাম উদ্দিন নামে এক চোরাকারবারি নিহত হয়েছে বলে জেনেছি।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, এলাকার লোকজন বিজিবির সঙ্গে চোরাকারবারীর গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশকে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
এদিকে নিহত নেজামের পিতা আবুল বশর বলেন, গত ৩ দিন আগে গর্জনিয়ায় এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো আমার ছেলে নেজাম। সোমবার সকালে তার বন্ধুরা ফোন দিয়ে জানায় বিজিবির গুলিতে নেজাম নিহত হয়েছে। তার বন্ধুরা নেজামের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘ময়না তদন্তের পর জানা যাবে কার গুলিতে নেজাম নিহত হয়েছে। নিহতের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।