নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পুলিশ ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও সিরিয়াল ধর্ষক রোকনকে গ্রেফতারের ঘটনায় ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ওসি শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে, তদন্ত ওসি আনোয়ার হোসেনের নির্দেশনায় এবং এসআই ইয়াসিন আরাফাতের বিশেষ অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মাদারীপুরের শিবচর থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই রোকনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৭ আগস্ট ২০২৫, রিতু আক্তার (১৮) ফতুল্লা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ২৬ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে বন্ধু হাবিবুর রহমানের সঙ্গে মিশুক যোগে ঢাকেশ্বরী যাচ্ছিলেন। পথে রোকন বাইকে এসে তাদের গাড়ি থামায়, জোরপূর্বক হাবিবুরকে নামিয়ে দিয়ে রিতুকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে লিংক রোড এলাকায় নির্জন স্থানে তাকে ধর্ষণ করে। এছাড়া ভুক্তভোগীর অশ্লীল ছবি ধারণ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পুনরায় দেখা করতে বাধ্য করার চেষ্টা করে রোকন।
পুলিশ ও গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে রোকনের নেপথ্যের ভয়ংকর চিত্র। তিনি শুধু ধর্ষক নন, বরং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের মূল হোতা।
একাধিকবার ধর্ষণ ও প্রতারণামূলক বিয়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
প্রবাসীদের স্ত্রী ও ডিভোর্সি নারীদের টার্গেট করে প্রতারণার মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে নারীদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করত।
এমনকি নারীদের জোরপূর্বক অপরিচিত পুরুষদের কাছে পাঠিয়ে অর্থ উপার্জনের অভিযোগও রয়েছে।
এছাড়া, রোকন নিজস্ব কিশোর গ্যাং গড়ে তুলে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাত। গভীর রাতে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা-পয়সা ও মালামাল ছিনতাই করত।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন—
“ধর্ষণকারী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে। আমরা তথ্য পেলেই দ্রুত অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করছি এবং আইনের আওতায় আনছি।”
ফতুল্লা থানার এ অভিযানে স্থানীয় জনসাধারণ স্বস্তি প্রকাশ করেছে এবং পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে।