প্রথম ইসলামিক স্কুল হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের লিভারপুল সিটিতে

প্রকাশকালঃ ২৪ আগu ২০২৩ ০৪:৩৩ অপরাহ্ণ ১৯২ বার পঠিত
প্রথম ইসলামিক স্কুল হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের লিভারপুল সিটিতে

যুক্তরাজ্যের লিভারপুল সিটিতে ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে দেশটির শিক্ষা বিভাগ। ইডেন গার্লস লিডারশিপ একাডেমি নামের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি শহরের প্রথম ইসলামিক স্কুল হতে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের শিক্ষাবিষয়ক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান স্টার একাডেমিসের তত্ত্বাবধানে তা পরিচালিত হবে। স্টার একাডেমিস লিভারপুল ছাড়াও দেশটির আরো ১৫টি শহরে এ ধরনের ফ্রি স্কুল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন পেয়েছে।

এক বিবৃতিতে স্টার একাডেমিস জানিয়েছে, তাদের স্কুলগুলো ইসলাম ধর্মভিত্তিক হলেও সেখানে সব ধর্মের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ রয়েছে। এ স্কুলে বিস্তৃত ও ভারসাম্যপূর্ণ একাডেমিক পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হবে। এখানে ১১-১৮ বছর বয়সী ৮০০ মেয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে। শিক্ষার্থীরা বৈচিত্র্যপূর্ণ নেতৃত্বের প্রগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন দাতব্য ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার  অনুপ্রেরণা পাবে।

স্টার একাডেমির প্রধান নির্বাহী স্যার হামিদ পাটেল সিবিই বলেছেন, ‘শিশুরা যেখানেই থাকুক এবং তাদের ভিত্তি যা-ই হোক, শিশুরা উন্নতমানের শিক্ষা লাভের অধিকার রাখে। আমাদের নতুন মাধ্যমিক স্কুল খোলার আবেদন গৃহীত হয়েছে। লিভারপুলের ইডেন গার্লস লিডারশিপ একাডেমি শহরের হাজারো তরুণের সম্ভাবনা উন্মোচনে সাহায্য করবে। সরকারের বিনা মূল্যের স্কুল কর্মসূচি এবং আমাদের স্থানীয় সহযোগীদের অংশগ্রহণে তা পরিচালিত হবে।


লিভারপুল কাউন্সিলের শিক্ষাবিষয়ক সদস্য লিলা বেনেট জানিয়েছেন, লিভারপুলে নতুন মাধ্যমিক স্কুল খোলার ব্যাপারে শিক্ষা বিভাগে স্টার একাডেমির আবেদন গৃহীত হয়েছে। আগামী বছর স্কুলটির জায়গা নিশ্চিত হলে এর কার্যক্রম শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে কাউন্সিল সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

শিক্ষাবিষয়ক সচিব গিলিয়ান কিগান বলেছেন, ‘আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য আরো বেশিসংখ্যক উন্নতমানের স্কুল চাই। আমরা আশা করি, এই ১৫টি স্কুল ব্র্যাডফোর্ড থেকে ব্রিস্টলের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে।

স্টার একাডেমিস যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি শিক্ষাবিষয়ক দাতব্য প্রতিষ্ঠান। সংস্থাটির তত্ত্বাবধানে যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ল্যাঙ্কাশায়ার, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার, গ্রেটার ম্যানচেস্টার, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে প্রায় ৩৬টি স্কুল রয়েছে। এর প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করছেন স্যার মুফতি হামিদ। নির্বাহী পরিচালক হিসেবে রয়েছেন লিসা ক্রাসবি, লোকমান আহমেদ, ড. ক্যাথরিন চোরলটন ও ডেভিড হল্যান্ড।