মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ, জেলা প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে মারধরের পর উল্টো হামলাকারীদের পক্ষ থেকে থানায় মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মডেল প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদপত্র এজেন্ট মো. আব্দুল কাদের (৪৮) এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল কাদের বলেন, “গত ২৫ অক্টোবর জুম্মার নামাজ শেষে আমার ছোট ভাই সানাউল্লাহকে নামো রাজারামপুর এলাকার একটি চিহ্নিত কিশোর গ্যাং মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে বেদম মারধর করে। পরে উল্টো তারাই আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।”
তিনি আরও বলেন, “উক্ত সন্ত্রাসীরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা নিরীহ মানুষের ওপর হামলা, বাড়িঘরে ভাঙচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।”
ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে গিয়ে আব্দুল কাদের জানান, “আমার ভাই সানাউল্লাহর মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত একটি ঢোলিমন হারিয়ে যায়। পরে জানতে পারে এটি রনির কাছে আছে। তিনি বিষয়টি জানতে চাইলে রনি ও তার সহযোগীদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর তারা ধারালো হাসুয়া, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে দলবদ্ধভাবে সানাউল্লাহর বাড়ির গলিতে গিয়ে গালাগালি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “২৪ অক্টোবর জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদের বারান্দা থেকে আমার ভাইকে জোরপূর্বক বাইরে এনে ইমরান আলী হাইফতের নির্দেশে আলামিন ও মোস্তাকিম লোহার রড দিয়ে নাকে আঘাত করলে নাকের হাড় ভেঙে যায়। আব্দুল আহাদ বাঁশের লাঠি দিয়ে বুকে-পিঠে আঘাত করে এবং রনি মাথায় আঘাত করতে গেলে আত্মরক্ষায় বাম হাতে আঘাত পেয়ে তার কব্জির হাড় ভেঙে যায়।”
স্থানীয়রা সানাউল্লাহকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন, যেখানে তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের পুলিশ প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান।
এ সময় আহত সানাউল্লাহর ভাই নিয়ামতুল্লাহ, স্ত্রী রাবেয়া বাশরী শরীফা, ভাগ্নে মাহবুব, ভাতিজা রাফি, সাকিবসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, “অভিযোগ যে কেউ দিতে পারে, আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় মামলা এন্ট্রি করা হয়েছে এবং আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।”