স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা টেস্টে ইতিহাস গড়ে দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নিজের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই পূর্ণ করেন তিন অঙ্কের মাইলফলকটি। পরে নবম ওভারে আউট হলেও তার ব্যাট থেকে আসে ২১৩ বল খেলে ১০৬ রানের মূল্যবান ইনিংস, যাতে ছিল ৫টি চার।
মুশফিকের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে দায়িত্ব নেন লিটন দাস। তিনিও খেলেন অসাধারণ এক ইনিংস। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি, যার মাধ্যমে ছাড়িয়ে যান তিন হাজার রানও। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লিটন ১০২ রানে অপরাজিত এবং তার সঙ্গে ব্যাট করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ (২৭ রান)।
১১৭ ওভার শেষে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৮৩ রান, চারশ’ রানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিকরা।
প্রথম দিন ৯৯ রানে অপরাজিত থাকার পর দ্বিতীয় দিন স্ট্রাইকে শুরু করেন মুশফিক। মাত্র ১ রানের অপেক্ষায় থাকলেও কোনো তাড়াহুড়ো না করে প্রথম ওভার মেডেন খেলেন। দিনের দ্বিতীয় ওভারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে উদযাপনে মেতে ওঠেন ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডে টেস্ট অভিষেক করা ৩৮ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
প্রথম দিনে ৯০ ওভার শেষে মুশফিক ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আম্পায়াররা অতিরিক্ত ওভার বিবেচনা করলেও দিন শেষে স্টাম্প ঘোষণা করা হয়।
সেঞ্চুরির পথে থাকা মুশফিকের সঙ্গে নির্ভার ইনিংস খেলেন লিটন। দুজন মিলে ৯০ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেন।
ওপেনিং জুটিতে আসে ৫২ রান (সাদমান ৩৫, জয় ৩৪)
নাজমুল শান্ত আউট হলে স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেট পড়ে ৯৫ রানে
এরপর মুমিনুল হক ও মুশফিক গড়েন ১০৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি
মুমিনুল খেলেন ৬৩ রানের ইনিংস
আয়ারল্যান্ড প্রথম দিনে ছয়জন বোলার ব্যবহার করেও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে লাগাম টানতে পারেনি। তবে স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনি একাই নেন ৪টি উইকেট, যা আইরিশদের জন্য একমাত্র ভরসা হয়ে ছিল।
| বিষয় | তথ্য |
|---|---|
| বাংলাদেশ | ৫ উইকেটে ৩৮৩ রান (১১৭ ওভার) |
| মুশফিকুর রহিম | ১০৬ (২১৩ বল, ৫ চার) – শততম টেস্টে সেঞ্চুরি |
| লিটন দাস | অপরাজিত ১০২ – ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরি ও ৩০০০+ রান |
| মেহেদী মিরাজ | ২৭* রান |
| উল্লেখযোগ্য জুটি | মুমিনুল–মুশফিক: ১০৭ রান |
| সেরা বোলার (আয়ারল্যান্ড) | অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনি – ৪ উইকেট |
শততম টেস্টে সেঞ্চুরির ঐতিহাসিক কীর্তি গড়ে মুশফিক যেন সাজিয়ে দিলেন স্মরণীয় এক ইনিংস। তার পরেই লিটনের শতক বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে চারশ’ রানের পথ পাড়ি দিয়ে আরও বড় সংগ্রহের।