আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
শনিবার বিকেলে বরিশালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশবাসীর কাছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখে।”
সিইসি শুক্রবার সকালেই বরিশালে পৌঁছান। যদিও সেদিন তার কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি ছিল না। তবে শনিবার তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন।
সকালে বরিশালের কাশীপুর এলাকায় অবস্থিত আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে বরিশাল বিভাগের সব নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে এবং বিকেলে বরিশাল সার্কিট হাউজে পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন। এসব বৈঠকের পর সন্ধ্যার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপ করেন তিনি।
সিইসি বলেন, “দায়িত্ব গ্রহণের সময় নেওয়া শপথ অনুযায়ী দেশের মানুষকে অনুকরণীয় একটি নির্বাচন উপহার দিতে চাই। প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আমি এ বার্তা দিয়েছি, তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবকিছু করবেন।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। সরকার ইতিমধ্যে জানিয়েছে, দলের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না। আমরা কোনো গোয়েন্দা সংস্থা বা অন্য কারো নির্দেশনা অনুসরণ করব না; সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করব।”
তিনি আরও বলেন, “আগের যে দুই-তিনটি নির্বাচন হয়েছে, তেমন কোনও নির্বাচন এবার হবে না। আমরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেব এবং কোনো দল বা গোষ্ঠীর চাপের সামনে মাথা নত করব না।”
বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছারসহ বরিশালের প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব সভায় উপস্থিত ছিলেন।