লোকসভায় ‘বন্দে মাতরম’ বিতর্কে মোদির কংগ্রেস সমালোচনা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৫:০৪ অপরাহ্ণ   |   ৩১ বার পঠিত
লোকসভায় ‘বন্দে মাতরম’ বিতর্কে মোদির কংগ্রেস সমালোচনা

অনলাইন ডেস্ক:


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বরেণ্য সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ‘বন্দে মাতরম’ গান ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান স্লোগানে পরিণত হলেও কংগ্রেস পরে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যুক্তি দেখিয়ে এর ব্যবহার নিয়ে সমঝোতায় যায়। তাঁর দাবি, এই সমঝোতাই পরবর্তীতে ভারত বিভাজনের পথ প্রশস্ত করার কংগ্রেসের নতিস্বীকারের উদাহরণ।

 

সোমবার লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে গানটির ১৫০ বছর পূর্তিকে ঘিরে আয়োজিত আলোচনায় বক্তব্য দিতে গিয়ে মোদি এসব মন্তব্য করেন। সম্প্রতি গানটির কিছু স্তবক বাদ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হলে এ নিয়ে সংসদে ১০ ঘণ্টার আলোচনা নির্ধারণ করা হয়। কংগ্রেসের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেবেন লোকসভার উপনেতা গৌরব গগৈ ও সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
 

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘বন্দে মাতরমের প্রতি অবিচার করা হলো কেন?’ তিনি জানান, ১৯৩৭ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর আপত্তির পর জওহরলাল নেহরু সুভাষচন্দ্র বসুকে চিঠিতে লিখেছিলেন যে, গানটির প্রেক্ষাপট মুসলিম সমাজে অসন্তোষ তৈরি করতে পারে। পরে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে এর ব্যবহার পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত হয়। মোদির দাবি, কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে মুসলিম লীগের চাপে নতি স্বীকার করেছিল, যা তাঁর ভাষায় “তোষণমূলক রাজনীতির” উদাহরণ।
 

তিনি আরও বলেন, একসময় বাংলা ছিল ভারতবর্ষের কেন্দ্রবিন্দু। সেজন্যই ব্রিটিশরা ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করে দুর্বল করার চেষ্টা করেছিল। তখনও ‘বন্দে মাতরম’ আন্দোলনের এক অবিচল প্রতীকে পরিণত হয়েছিল।
 

মোদির বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন লোকসভার উপনেতা গৌরব গগৈ। তিনি বলেন, ‘বন্দে মাতরম’কে শুধু স্লোগান নয়, জাতীয় মর্যাদার আসনে উন্নীত করার কাজ কংগ্রেসই করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ১৮৯৬ সালে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমবার সুরেলা ভঙ্গিতে গানটি পরিবেশন করেছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে গানটির ব্যবহারের বহু ঐতিহাসিক নজিরও তুলে ধরেন তিনি।
 

গগৈ বলেন, যতই চেষ্টা করা হোক, পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর ঐতিহাসিক অবদান কলুষিত করা সম্ভব নয়।