গাড়ি নিবন্ধন ও ফিটনেস নবায়নে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র (পিএসআর) বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে গাড়ি নিবন্ধন বা নবায়নে গাড়ি ভেদে নির্দিষ্ট হারে অগ্রিম কর দিতে হয়। তবে গাড়ি নিবন্ধন বা নবায়নের সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র না দিলে বাড়তি অগ্রিম কর দেওয়ার বাধ্যবাধকতা যুক্ত করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
গত ৮ জুলাই (সোমবার) ইস্যু করা বিশেষ আয়কর পরিপত্রে রিটার্ন জমার স্লিপ না থাকলে গাড়ি ভেদে বাড়তি ৮ হাজার থেকে লাখ টাকার বেশি কর দেওয়ার বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩ এবং অর্থ বিল, ২০২৪ অনুযায়ী এই বাড়তি কর দিতে হবে। শুধু অগ্রিম কর নয়, পরিবেশ সারচার্জ পরিশোধ না করলেও পরবর্তী বছর বাড়তি পরিবেশ সারচার্জ দিতে হবে।
মোটরযান নিবন্ধন ও ফিটনেস নবায়নে উৎসে কর, পরিবেশ সারচার্জ সংগ্রহ, পিএসআর বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। আইনের এই ধারা অনুযায়ী, ৫২ আসনের বেশি আসনের বাসের ক্ষেত্রে অগ্রিম কর ১৬ হাজার টাকা। তবে পিএসআর দিতে না পারলে অগ্রিম কর দিতে হবে ২৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ বাড়তি ৮ হাজার টাকা অগ্রিম কর দিতে হবে।
একইভাবে ৫২ আসনের বেশি নয়, এমন বাসের ক্ষেত্রে অগ্রিম কর ১১ হাজার ৫০০ টাকা। পিএসআর না দিলে এই গাড়ির অগ্রিম কর দিতে হবে ১৭ হাজার ২৫০ টাকা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের অগ্রিম কর ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু পিএসআর না দিলে এই গাড়ির অগ্রিম কর দিতে হবে ৫৬ হাজার ২৫০ টাকা। অপরদিকে, প্রতিবছর পরিবেশ সারচার্জ দিতে না পারলেও দিতে হবে বাড়তি কর। ১৫০০ সিসি বা ৭৫ কিলোওয়াট পর্যন্ত প্রতিটি গাড়ির জন্য পরিবেশ সারচার্জ দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা। একইভাবে ১৫০০ সিসি বা ৭৫ কিলোওয়াটের বেশি, কিন্তু ২০০০ সিসি বা ১০০ কিলোওয়াটের বেশি নয়-এমন প্রতিটি গাড়ির জন্য ৫০ হাজার টাকা; ২০০০ সিসি বা ১০০ কিলোওয়াটের বেশি, কিন্তু ২৫০০ সিসি বা ১২৫ কিলোওয়াটের বেশি নয়-এমন প্রতিটি গাড়ির জন্য ৭৫ হাজার টাকা; ২৫০০ সিসি বা ১২৫ কিলোওয়াটের বেশি কিন্তু ৩০০০ সিসি বা ১৫০ কিলোওয়াটের বেশি নয়-এমন প্রতি গাড়িতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা; ৩০০০ হাজার সিসি বা ১৫০ কিলোওয়াটের বেশি কিন্তু ৩৫০০ সিসি বা ১৭৫ কিলোওয়াটের বেশি নয়-এমন প্রতি গাড়িতে দুই লাখ টাকা; ৩৫০০ সিসি বা ১৭৫ কিলোওয়াটের বেশি এমন প্রতি গাড়িতে পরিবেশ সারচার্জ দিতে হবে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।