গ্যাজেটের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার মানসিক স্ট্রেসের কারণ

প্রকাশকালঃ ১৪ মে ২০২৪ ০১:১৫ অপরাহ্ণ ৫৬০ বার পঠিত
গ্যাজেটের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার মানসিক স্ট্রেসের কারণ

স্মার্ট গ্যাজেটগুলো মূলত তৈরি করা হয়েছিলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করার জন্য। স্মার্টফোন থেকে স্মার্টওয়াচ- এই ডিভাইসগুলো আমাদের জীবনের সুবিধা এবং কানেক্টিভিটি বাড়াতে সাহায্য করছে। তবে এর ক্রমবর্ধমান ব্যবহার, মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে কীনা- এটা ভাবিত করে তুলছে আমাদের। 

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলির মাধ্যমে আমরা যতোই পৃথিবীর সাথে সংযোগ বাড়াচ্ছি, এক আঙ্গুলের ডগায়, যেভাবে বিভিন্ন তথ্য ও সংবাদ আমাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, সেটা বিস্ময়কর। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমরাও ফলো করছি বিভিন্ন ট্রেন্ড। যুদ্ধ-বিগ্রহ, খুব নমনীয় বিষয়গুলোর প্রতি আমরা হয়ে উঠছি জাজমেন্টাল। মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ চিন্তা না করেও কারো ব্যক্তিগত মতামতের উপর হিংস্রতা দেখাচ্ছি। এই বিষয়গুলো যাদের সাথে হচ্ছে, মানসিক স্ট্রেসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তারা। এমনকি, আত্মহননের সিদ্ধান্তও নিচ্ছেন এসব সহ্য করতে না পেরে। 


গ্যাজেট ব্যবহার যেভাবে স্ট্রেস বাড়াচ্ছে

  • ইন্টারনেটের অবাধ একসেসের ফলে, মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অবাধ স্বাধীনতা পাচ্ছে। এর ফলে, যেকোনো সৃজনশীল কাজের প্রতি মনোযোগ হারাচ্ছে। ব্রেইন ফাংশনগুল অকেজো হয়ে যাচ্ছে, এর ফলে নতুন কোনো কিছু করার আগ্রহ পাচ্ছেনা। ফলে মানসিক স্ট্রেস বাড়ছে।

  • অতিরিক্ত গ্যাজেট ব্যবহারের ফলে, মানুষের মধ্যকার সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। পরিবার-বন্ধু বা পার্টনার, এদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। দূরত্ব তৈরি হয়ে যাওয়ায় ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকছে। এথেকেও মানসিক স্ট্রেস বেড়ে যাচ্ছে। 

  • কায়িক পরিশ্রম কমে যাওয়ার কারণেও মানসিক স্ট্রেস বাড়তে পারে। স্মার্ট গ্যাজেটগুলো মানুষের কায়িক পরিশ্রম কমিয়ে দিয়েছে। শুয়ে বসে থাকার কারণেও অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মানসিক স্ট্রেস বাড়িয়ে দেয়।


প্রতিকার

  • একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় কাজ, যেগুলো গ্যাজেটের মাধ্যমে করতে হবে, সেগুলো সময়ের মধ্যেই শেষ করা যায়।

  • পরিবার – বন্ধু,  আত্মীয়, এদের সাথে সময় কাটাতে হবে।

  • মানসিক স্ট্রেস বাড়ার কারণ খুঁজে বের করে, সেটা যদি একটা নির্দিষ্ট গ্যাজেটের কারণে হয়, যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।

  • মেডিটেশন করতে হবে। নিজের মনকে শান্ত ও স্থির করতে হবে।

  • রাতের বেলা মোবাইল, বা অন্য কোনো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার না করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ভালো।