ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বিদ্যাসাগর উপাধি দেওয়া হয় তার জ্ঞান, শিক্ষার প্রতি নিষ্ঠা এবং সমাজের উন্নয়নে তার অবদানের জন্য।সংস্কৃত কলেজে বারো বছর পাঁচ মাস অধ্যয়নের পর তিনি এই কলেজ থেকে একটি প্রশংসাপত্র লাভ করেন। ১৮৪১ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রাপ্ত দেবনাগরী হরফে লিখিত এই সংস্কৃত প্রশংসাপত্রে কলেজের অধ্যাপকগণ ঈশ্বরচন্দ্রকে 'বিদ্যাসাগর' নামে অভিহিত করেন।
উপাধি প্রদানের কারণ:
ঈশ্বরচন্দ্র সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অসাধারণ জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। তিনি সংস্কৃত কলেজের শিক্ষক ছিলেন এবং তার পাণ্ডিত্যের জন্য সকলের শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন।ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলায় শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার পাঠ্যপুস্তক রচনা করেছিলেন এবং স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন।ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সমাজের কুসংস্কার দূরীকরণে এবং নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি বিধবা বিবাহ ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন একজন দানশীল ও মানবপ্রেমিক ব্যক্তি। তিনি দুঃস্থদের সাহায্য করতে এবং সমাজের উন্নয়নে কাজ করতে সর্বদা তৎপর ছিলেন।
উপাধি প্রদানের প্রক্রিয়া:
ঈশ্বরচন্দ্রের জ্ঞান ও শিক্ষার প্রতি নিষ্ঠার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংস্কৃত কলেজের শিক্ষকরা তাকে "বিদ্যাসাগর" উপাধি প্রদানের প্রস্তাব করেন।সংস্কৃত কলেজের কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের প্রস্তাব অনুমোদন করে ঈশ্বরচন্দ্রকে "বিদ্যাসাগর" উপাধি প্রদান করে।ঈশ্বরচন্দ্রের "বিদ্যাসাগর" উপাধি জনগণের কাছে ব্যাপক সমর্থন লাভ করে।
উপাধির তাৎপর্য:
"বিদ্যাসাগর" উপাধি ঈশ্বরচন্দ্রের জ্ঞান, শিক্ষার প্রতি নিষ্ঠা এবং সমাজের উন্নয়নে তার অবদানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।"বিদ্যাসাগর" উপাধি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। ঈশ্বরচন্দ্র বাংলা ভাষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।বিদ্যাসাগর" উপাধি অন্যদের জ্ঞান অর্জন, শিক্ষার প্রসারে কাজ করতে এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করে।