সোমবার ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়। পত্রে বলা হয়েছে, জেলা ও উপজেলার দপ্তরের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতা সরেজমিন যাচাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে হবে।
তদন্ত প্রক্রিয়া:
জেলা পর্যায়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। তারা চেকলিস্ট অনুযায়ী সমস্ত কাগজপত্র নম্বর সহ সিলমোহর করে বিশেষ খামে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা দলভিত্তিক খামগুলো গোপনীয়ভাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাবেন।
উপজেলা পর্যায়েও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা চেকলিস্ট পূরণ করে কাগজপত্র সিলমোহর করে জেলা পর্যায়ে পাঠাবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা এসব খাম একত্রিত করে কমিশন সচিবালয়ে পাঠাবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাঠপর্যায়ের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হবে।
নিবন্ধন প্রত্যাশী দলসমূহ:
নিবন্ধন চাওয়া ১৪৩ দলের মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ২২টি দল হলো: ফরোয়ার্ড পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি (এম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলিউশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।
আইনের ধারা অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে চাওয়া দলগুলোকে অবশ্যই একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়াংশ জেলা কমিটি, ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ দিতে হবে। এছাড়া পূর্বে সংসদ সদস্য থাকা বা গত নির্বাচনে অন্তত ৫ শতাংশ ভোট পাওয়া দলেরাও নিবন্ধনের যোগ্য। এই শর্তগুলো ছাড়াও অন্যান্য নিয়মকানুন মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাই সাধারণত এসব নিয়মকানুন পূরণের ভিত্তিতে সম্পন্ন হয়।