ঢাকা প্রেস,ষ্টাফ রিপোর্টার (ময়মনসিংহ):-
ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এই ঘটনা ঘটে। সভাটি আয়োজন করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে।
সভায় ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য ফুয়াদ হাসান ও সাকিবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। সভায় জেলা ও মহানগর খসড়া কমিটি প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, দুপুর ২টায় সভা শুরু হয়। এক পর্যায়ে মো. রিয়াদ সারোয়ার নামে এক ছাত্র প্রতিনিধি ও মো. সিফাতের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, রিয়াদ একজন নারীর সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন সিফাত তাকে ডাকেন। রিয়াদ দেরি করায় সিফাত রিয়াদকে ঘুষি মারেন।
সভা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে রিয়াদ সারোয়ার ও তার বন্ধু আব্দুল কাদির শৈশব আহত হন। সহপাঠীরা তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রিয়াদের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে রিয়াদ সারোয়ার আনন্দ মোহন কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাকে বেধড়ক পেটানো হয় এবং আবদুল কাদির শৈশবের মাথা ও মুখে ছুরিকাঘাত করা হয়।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম খান জানান, ঘটনাটি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগে চারজনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, "বাকবিতণ্ডার জেরে এই সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।"
আরেক সমন্বয়ক আশিকুর রহমান জানান, বিষয়টি কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের জানানো হয়েছে।
এই ঘটনা ছাত্র আন্দোলনের অভ্যন্তরীণ বিরোধকে সামনে এনে দিলেও পুলিশ বলছে, এটি মূলত ব্যক্তিগত বিরোধ থেকে সৃষ্টি হয়েছে।