প্রকাশকালঃ
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:৩৬ অপরাহ্ণ ১৫৮ বার পঠিত
চুক্তি ভঙ্গের পর প্রথমবার কৃষ্ণ সাগর বন্দর ছেড়েছে ইউক্রেনের শস্য বোঝাই করা অ্যাকার্গো জাহাজ। এ পথে পণ্য রপ্তানিতে রাশিয়ার হামলার হুমকি রয়েছে। তা সত্ত্বেও জাহাজ ছেড়েছে কিয়েভ। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেইজে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী অলেক্সান্ডার কুবরাকভ। খবর ডেইলি সাবাহর।
অলেক্সান্ডার কুবরাকভ ফেসবুকে বলেছেন, ‘৩ হাজার টন গম বহনকারী জাহাজটি চোরনোমর্স্ক বন্দর ছেড়েছে এবং বসফোরাসের দিকে যাচ্ছে। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বেসামরিক জাহাজের জন্য একটি অস্থায়ী করিডোর দিয়ে গত সপ্তাহে চোরনোমর্স্কে প্রবেশ করা দুটি জাহাজের মধ্যে এটিই প্রথম।’
কুবরাকভ খোলা সমুদ্রে জাহাজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ইউক্রেন গত মাসে কৃষ্ণ সাগরে একটি ‘মানবিক করিডোর’ ঘোষণা করেছে। এর আগে যুদ্ধের পরপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন্দর অবরোধ করে রেখেছে রাশিয়া। কিছুদিন আগে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় পুনরায় শস্য রপ্তানি চুক্তি করেছিল মস্কো।
তবে সেই চুক্তি বেশিদিন টিকেনি। চুক্তি ভঙ্গের পর এবারই প্রথম কোনো জাহাজ বন্দর ছাড়ল। বাল্ক ক্যারিয়ার রেসিলিয়েন্ট আফ্রিকা এবং আরোয়াট শনিবার ইউক্রেনে পৌঁছেছে এবং আফ্রিকা ও এশিয়ার জন্য প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন গম লোড করার পরে বন্দর ছাড়ার কথা ছিল।
কুবরাকভ বলেন, দ্বিতীয় জাহাজ আরোয়াট এখনও চোরনোমর্স্কে আটকে আছে এবং মিসরের জন্য গম বোঝাই করা হচ্ছে। মস্কো ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি অবকাঠামোতে ঘন ঘন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে।
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চোরনোমর্স্কসহ ওডেসার তিনটি সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে রাশিয়ার আগ্রাসনের সময় দশ লক্ষ টন শস্য পাঠানো হয়েছিল। অস্থায়ী করিডোর ব্যবহার করে ওডেসায় আটকে থাকা বেশ কয়েকটি জাহাজের মধ্যে পাঁচটি এখন পর্যন্ত বন্দর ছেড়ে গেছে।
রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ২০২২ সালের জুলাই মাসে শস্য রপ্তানি চুক্তিটি হয়েছিল। ইউক্রেন এবং রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ শস্য রপ্তানিকারকদের মধ্যে অন্যতম।