যদি আপনাকে আমি বলি, বাজারে এমন একটি জিনিস এসেছে, যা আপনার সবকিছু করে দেবে। সবকিছু মানে? আপনার কলেজের হোমওয়ার্ক বাকি আছে, সেটা করে দেবে। আপনি রচনা লিখতে পারছেন না, রচনা লিখে দেবে। আপনি কোডিং পারেন না, কোডিং লিখে দেবে। আপনি কোডিং শিখতে চান, কোডিং শেখাবে। আপনি পাইথন জানেন না, আপনাকে পাইথন শেখাবে। আপনি আর্টিকেল লিখতে চান, আপনার আর্টিকেল লিখে দেবে। আপনি নতুন চাকরির জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু সিভি/বায়োডাটা লিখতে পারেন না; আপনার বায়োডাটা লিখে দেবে। আপনি কাউকে ভালোবাসেন, কিন্তু লাভ লেটার লিখতে পারেন না; লাভ লেটার লিখে দেবে। ব্যানার ডিজাইন করতে চান; নিখুঁতভাবে তা করে দেবে।
আপনি হয়তো ভাবছেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো একটি কবিতা লিখবেন, কোনো ব্যাপারই না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো কবিতা লিখে দেবে। আপনি বিভিন্ন স্টেজে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দিতে চান, কিন্তু কী বক্তব্য দেবেন, বুঝতেছেন না; ওই টুল আপনার বক্তব্য তৈরি করে দেবে। আপনি গল্প, চিত্রনাট্য, উপন্যাস ইত্যাদি লিখতে চান, এসব লিখে দেবে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার কী জানেন? যদি একটি কবিতা শেক্সপিয়ারের স্টাইলে লিখতে বলেন, তার স্টাইলেই সুন্দর একটি কবিতা লিখে দেবে, আর এ কবিতা দুনিয়ার আর কোথাও নেই, পূর্বে এ কবিতা আর কেউ লেখেনি। প্ল্যাজারিজম চেক করার সফটওয়্যার এ ক্ষেত্রে কিছুই করতে পারবে না। সব ক্ষেত্রে ইউনিক বিষয়বস্তু তৈরি করবে। ব্যাপারটি কতই ভয়ংকর এবং সুন্দর ভাবতে পারেন!
অর্থাৎ আমি এমন জিনিসের কথা বলতে চাচ্ছি, যেটা আপনার সবকিছু করে দেবে। আর সেটা হচ্ছে চ্যাটজিপিটি। চ্যাটজিপিটি একটি স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার প্রোগ্রাম, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মানুষের মতো উত্তর প্রদান করে। এটি তৈরি করেছে ওপেনএআই কোম্পানি। বিশ্ব প্রযুক্তির রাজধানী সিলিকন ভ্যালির বাঘা বাঘা উদ্যোক্তা এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্যামুয়েল এইচ আল্টম্যান বর্তমানে ওপেনএআইয়ের সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন। শুরুতে কোম্পানিটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল। এর মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মানবজাতিকে উপকার সাধন করা। চ্যাটজিপিটি গড়ে তোলার জন্য মাইক্রোসফট ওপেনএআইকে এক বিলিয়ন ডলার দিয়েছিল। এ ছাড়া মাইক্রোসফটের আজুরের সুপার কম্পিউটার কাঠামো ব্যবহার করে চ্যাটজিপিটির জটিল কম্পিউটিং কাঠামো তৈরির সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে মাইক্রোসফট ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে এর ৪৯ শতাংশ মালিকানা লাভ করে। ইতিমধ্যে ওপেনএআই ২৯ বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ওপেনএআই ২০০ মিলিয়ন ডলার মুনাফা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। ওপেনএআই এর আগে ড্যাল ই-২ নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বাস্তবের মতো ছবি তৈরির প্রযুক্তি গড়ে তুলেছিল।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অভাবনীয় অগ্রগতির ফসল চ্যাটজিপিটি। এটি জিপিটি ভাষা মডেলের সংস্করণ। অতীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অনেক মডেল তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু চ্যাটজিপিটির মতো কার্যকর ছিল না। চ্যাটজিপিটির বিশেষত্ব হলো এটা মানুষের কথাবার্তা এমনভাবে নকল করে যে এর সঙ্গে চ্যাট করলে যন্ত্র মনে হবে না। চ্যাটজিপিটির পূর্ণরূপ হলো চ্যাট জেনারেটিভ প্রিট্রেইনড ট্রান্সফরমার। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা সব ধরনের বিষয়ে চ্যাটজিপিটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কারণে এর ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল সব ক্ষেত্রে আলোচনা চালিয়ে যেতে সক্ষম। কনটেন্ট রাইটিংসহ একাধিক ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি এতটাই নিখুঁত কাজ করে যে সংশ্লিষ্ট খাতের অনেকে অদূর ভবিষ্যতে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে আছেন। চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে অ্যাপস, ভিডিও গেম, এমনকি স্টার্টআপ কোম্পানি তৈরি করা সম্ভব। এতসব কার্যকারিতার কারণে চ্যাটজিপিটি এত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। চালুর এক সপ্তাহের মধ্যে চ্যাটজিপিটি ১০ লক্ষাধিক মানুষ ব্যবহার করেছেন। নেটফ্লিক্সের এ পরিমাণ ব্যবহারকারী পেতে সময় লেগেছে ৪১ মাস, ফেসবুকের লেগেছে ১০ মাস ও ইনস্টাগ্রামের লেগেছে ২ দশমিক ৫ মাস। আর চালুর দেড় মাসের মাথায় চ্যাটজিপিটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এখনো চ্যাটজিপিটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাচ্ছে। তবে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চ্যাটজিপিটি প্রফেশনাল নামের একটি সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ চালু করা হয়েছে। এই সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজে মাসিক ৪২ ডলার খরচ করে চ্যাটজিপিটির সর্বোত্তম সেবা পাওয়া যাবে। ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি চ্যাটজিপিটি প্লাস নামের আরও একটি সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ চালু করা হয়েছে। এই সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজে মাসিক ২০ ডলার খরচ করে চ্যাটজিপিটির সর্বোত্তম সেবা পাওয়া যাবে। চ্যাটজিপিটির ফ্রি ও প্রিমিয়াম সার্ভিসের সুবিধা মূলত একই। তবে যখন এর সার্ভারে অধিক চাপ পড়ে, তখন ফ্রি সার্ভিসে খুব একটা ভালো সাড়া পাওয়া যায় না। অন্যদিকে টাকা দিয়ে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করলে সর্বোচ্চসংখ্যক ব্যবহারকারী থাকা সত্ত্বেও ভালো সাড়া পাওয়া যায়।
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে অসাধারণ এআই মডেলের কারণে বিশ্বসেরা কোম্পানির স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরুর পর এ মডেলের আরও উন্নয়ন সাধন করে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। এটি জনসমক্ষে প্রকাশের পূর্বে এই সিস্টেমকে মানুষের মতো কথাবার্তা শেখাতে ইন্টারনেট থেকে ৪৫ টেরাবাইট লিখিত তথ্য ও ১৭৫ বিলিয়ন কথোপকথনের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। চ্যাটজিপিটি মূলত তিন ধাপে তার কাজ সম্পন্ন করে। এই তিনটি প্রধান ধাপের মধ্যে আবার ১০টির বেশি ধাপ রয়েছে, যার মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি গ্রাহকের কাছ থেকে প্রশ্ন শোনে এবং প্রশ্নানুযায়ী একাধিক উত্তর খুঁজে বের করে। সবশেষে গ্রাহকের প্রশ্নের সঙ্গে সর্বোচ্চ সামঞ্জস্যপূর্ণ উত্তরটি পরিবেশন করে। কথোপকথনের গভীরতা অনুসারে চ্যাটজিপিটি মাত্র ৬ থেকে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে উত্তর দিয়ে দেয়। এর সৃজনশীলতা শুধু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি মানুষের মতো গল্প, চিত্রনাট্য, এমনকি জটিল সফটওয়্যারের কাজ করতে পারে। চ্যাটজিপিটিকে দিয়ে সীমাহীন কাজ করে নেওয়া সম্ভব। কাস্টমার সার্ভিস, ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, কনটেন্ট ক্রিয়েশনসহ বিভিন্ন ধরনের কাজে ইতিমধ্যে এ সেবা ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া চ্যাটজিপিটি কাস্টমাইজ করে নিয়ে নিজের সুবিধামতো অনেক ধরনের কাজে ব্যবহার করা যাবে। চ্যাটজিপিটি বহু কাজে সফলতার পরিচয় দিলেও এখনো এটি সম্পূর্ণ নিখুঁত নয়। মানুষের মতো চ্যাটজিপিটি বেশ কিছু ভুল করছে। তবে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চ্যাটজিপিটি নিজেকে প্রশিক্ষিত করছে। ফলে যত বেশি মানুষ এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে, চ্যাটজিপিটির সিস্টেম তত বেশি উন্নত হতে থাকবে। চ্যাটজিপিটি অ্যাডভান্স মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদমের সাহায্যে বিপুলসংখ্যক তথ্য–উপাত্ত বিচার–বিশ্লেষণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সবচেয়ে ভালো ফলাফল প্রদান করে। ফলে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বললে বা প্রশ্ন করলে মানুষের মতো ভেবেচিন্তে উত্তর দিতে পারে। শুধু একবার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া নয়, পূর্বের আলোচনা মনে রেখে মানুষের মতো দীর্ঘ সময় আলাপচারিতা চালিয়ে যেতে সক্ষম।
চ্যাটজিপিটি হাত ধরে নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে। এআই তো নতুন নয়, বহুদিন ধরে আমরা শুনে আসছি। ওপেনএআই কোম্পানি যখন বাজারে চ্যাটজিপিটি ছাড়ল, তখন মুখে মুখে গল্প ছড়াতে লাগল—গুগলের দিন শেষ। তবে তথ্যপ্রযুক্তির দানব গুগল মামাও বসে নেই। চ্যাটজিপিটির ন্যায় অ্যালফাবেট ও গুগল বাজারে গুগল বার্ডএআই ছাড়তে যাচ্ছে। চীনারা চ্যাটজিপিটির প্রতিযোগী ওয়েন্সকিন ইয়ান (যার ইংরেজি নাম আর্নিবট) তৈরি করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটজিপিটি যেভাবে দুনিয়াজুড়ে সাড়া ফেলেছে, তাতে এর সঙ্গে আরও নতুন নতুন প্রতিযোগী যুক্ত হচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সবক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে।
চ্যাটজিপিটি একটি চ্যাটবট, অর্থাৎ চ্যাট করতে পারে, এমন একটি রোবট। এত মানুষ এত তাড়াতাড়ি এর রেজিস্ট্রেশন কেন করল বা কেন ফ্রি ব্যবহার করতে দিচ্ছে, তার কারণ হলো এর প্রচার ও শেখানো। আপনি যা যা প্রশ্ন করবেন, চ্যাটজিপিটি ওর মতো করে উত্তর দেবে। চ্যাটজিপিটিকে কিছু জিজ্ঞেস করলে চ্যাটজিপিটি সেটির একটি সুন্দর উত্তর তৈরি করে দেবে, যেটি ওকে ১০–২০ বছরে শেখানো হয়েছে। আপনার একটি প্রশ্নের জন্য চ্যাটজিপিটিকে হাজার হাজার ডকুমেন্ট সার্চ করতে হতে পারে। আমরা ভাবছি, শুধু চ্যাটজিপিটি আমাদের শেখাচ্ছে, বিষয়টি সে রকম নয়, আমরা যে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে এত কথা বলছি, এত কাজ দিচ্ছি, তাতে চ্যাটজিপিটি শিখছে। আমাদের কাজ করতে গিয়ে চ্যাটজিপিটি শিখছে এবং কীভাবে ভালোভাবে কাজ করতে হয়, সেটা চ্যাটজিপিটি শিখছে। অর্থাৎ আমরা চ্যাটজিপিটিকে শেখাচ্ছি, আমাদের শেখানো বিষয় থেকে চ্যাটজিপিটি আমাদের শেখাচ্ছে। চ্যাটজিপিটি আস্তে আস্তে শিখচ্ছে এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে।
চ্যাটজিপিটির সাহায্যে আপনি অর্থ উপার্জনও করতে পারবেন। আপনি চ্যাটজিপিটিকে যেভাবে কাজে লাগাবেন, চ্যাটজিপিটি সেভাবে আপনাকে কাজ করে দেবে এবং অর্থ উপার্জনের বিভিন্ন পথে আপনাকে সাহায্য করবে।
চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতে চাইলে ওপেনএআইয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। চ্যাটজিপিটি অপশনে ক্লিক করে লগইন করতে হবে। আর যদি আপনি প্রথমবার চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী হন, তাহলে আপনাকে সাইন আপ করতে হবে। সাইন আপ করা হয়ে গেলে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে গুগলে চ্যাটজিপিটি সার্চ করলে লগইন, সাইন আপ পেজ আসবে এবং লগইন করে পেজের নির্দিষ্ট জায়গায় কোনো প্রশ্ন করলে তৎক্ষণাৎ উত্তর দেবে। আপনি যা জিজ্ঞেস করবেন, চ্যাটজিপিটি সেটার উত্তর বলে দেবে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রজেক্ট, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদি যা যা তাকে লিখে দিতে বলবেন, সেসব সে লিখে দেবে। তাকে প্রবন্ধ/রচনা/প্যারাগ্রাফ লিখে দিতে বললে নিজের মতো করে লিখে দেবে। চ্যাটজিপিটি আস্তে আস্তে পৃথিবীর সব ভাষা শিখছে। এমন একটা সময় আসবে, যে সময় এর মতো করে ভালোভাবে অনেক বিদ্বানও লিখতে পারবে না। ২০২১ পর্যন্ত পৃথিবীতে যা যা ছিল, এটা তার সব জানে। ২০২১ সালের পর কী হয়েছে, সে সম্পর্কে ধারণা নেই। আপনার মাথায় যত বুদ্ধি আছে, তত বুদ্ধি প্রয়োগ করে একে কাজে লাগাতে পারেন। আপনি যদি কোম্পানিতে কাজ করেন, আপনার কোম্পানির প্রোডাক্টের বিবরণ এর সাহায্যে সহজে লিখতে পারবেন। আপনি পাইথনের কোডিং করতে গিয়ে ভুল করেছেন, কোনো সমস্যা নেই, চ্যাটজিপিটি আপনার ভুল ধরিয়ে দেবে এবং সমাধান করে দেবে। ভাবুন, পৃথিবী কত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আর আপনি যদি বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আপনার মূল্যবান সময় অপচয় করেন, তাহলে আপনি ওখানেই পড়ে থাকবেন, সামনে এগোতে পারবেন না। যে ট্রেন ধরার জন্য আপনি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলেন, সে ট্রেন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, আর আপনি প্ল্যাটফর্মে রয়ে যাবেন।
লেখক: তরুণ কুমার গায়েন, সহকারী অধ্যাপক, রসায়ন, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ, খুলনা