হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:-
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দি লঞ্চ ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে। আহতদের মধ্যে লায়লা বেগম (৩০), কামরুল ইসলাম (৩০), আকলিমা বেগম (২৫) ও নাফিসা বেগম (২৮) রয়েছেন। বিশেষত লায়লা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
কিন্তু তমরদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভীর হায়দার এই নিয়ন্ত্রণ মেনে নিতে পারেননি এবং দীর্ঘদিন ধরে ঘাট দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তানভীর হায়দারের অনুসারীরা লঞ্চ ঘাটের দখল নিতে গেলে সেখানে অবস্থানরত আলমগীরের লোকজন তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যেখানে শ্রমিকদের পরিবারের নারী-পুরুষও জড়িয়ে পড়েন।
সংবাদ পেয়ে উপজেলা সদর থেকে পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা লঞ্চ ঘাটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ তানভীর হায়দার অভিযোগ করেন, আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে সমঝোতা করে ঘাটটি ভোগদখল করে আসছেন। তবে ঘাট দখলের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।