৮ বছর ধরে বাঁশ-কাঠের সংযোগ সড়ক সেতু, ভোগান্তিতে ৫০ হাজার মানুষ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:৩৯ অপরাহ্ণ   |   ১৫৮ বার পঠিত
৮ বছর ধরে বাঁশ-কাঠের সংযোগ সড়ক সেতু, ভোগান্তিতে ৫০ হাজার মানুষ

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

 

কুড়িগ্রাম জেলা সদরের পৌরসভার টাপু ভেলাকোপা সড়কে আট বছর ধরে ভেঙে আছে সেতুর সংযোগ সড়কটি। চলাচলের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় বাঁশ ও কাঠ দিয়ে পাটাতন তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণের আশ্বাস পৌর প্রশাসনের।
 

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙা সেতুর একপাশে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে বানানো হয়েছে পাটাতন। উপায় না পেয়ে ঝুঁকি নিয়েই এ পথ দিয়ে প্রতিদিন অনেকটা বাধ্য হয়ে যাতায়াত করছেন বাসিন্দারা।
 

সংশ্লিষ্টরা জানান, কুড়িগ্রাম পৌরসভার টাপু ভেলাকোপা সড়কের হানাগড় এলাকায় ২০১১ সালে নির্মাণ করা হয় ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ১০ ফুট প্রস্তের ব্রিজটি। ২০১৭ সালের বন্যায় সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে যায়। এরপর থেকে ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকে দীর্ঘদিন।
 

সেতুটি মেরামতে বিগত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে নিজ উদ্যোগে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে জোড়াতালির পাটাতন নির্মাণ করেন স্থানীয়রা। থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল পারাপার হলেও আটকে যায় অ্যাম্বুলেন্স। এতে গুরুতর রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাতায়াতে বেগ পেতে হয় পৌরবাসীর।
 

এ বিষয়ে টাপু ভেলাকোপা এলাকার আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা পৌরসভা ও এর বাইরের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই ভাঙা সেতুর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। সেতুটি ভাঙা থাকার কারণে আমরা আমাদের ফসল নিতে পারি না। কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে পারি না। ৮ বছর ধরে খুবই দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছি।’
 

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পৌরসভার প্রশাসক বি এম কুদরত-এ-খুদা জানান, জনদুর্ভোগ কমাতে আপাতত সেতুর পাশের ভাঙা অংশে নির্মাণ হবে কাঠের ব্রিজ। তারপর দ্রুতই সেতুটি নির্মাণের আশ্বাস দেন পৌর প্রশাসক।

 
২০১১-২০১২ অর্থ বছরে এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কুড়িগ্রাম পৌরসভার টাপু ভেলাকোপা হানাগড় সড়কে নির্মাণ করা হয় সেতুটি। তিনটি ইউনিয়নসহ পৌরসভার প্রায় ৫০ হাজার মানুষের যাতায়াত হয় এ সড়ক দিয়ে।