কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনের আইনজীবী ফখরুল ইসলাম আদালতের বাইরে চিৎকার করে সাংবাদিকদের ছবি তোলা বন্ধ করতে চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, “ক্যামেরা নামাও, এটা খেলার মাঠ নয়, এটা আদালত। কেউ ছবি তুলবে না। যারা সাংবাদিকের নামে এখানে ছবি তুলবেন, আদালতের নির্দেশে ছবি তুলবেন না। আমাদের আইনজীবীদের আপনারা প্রতিপক্ষ করবেন না।”
ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে, যখন সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানের করা সাংবাদিক নির্যাতন মামলায় সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে জামিন নামঞ্জুরের পর জেলহাজতে নেওয়া হচ্ছিল।
কুড়িগ্রামের সাংবাদিক সমাজের মধ্যে এ ঘটনায় তীব্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সময় টিভির ক্যামেরা পারসন জামিল মিয়া বলেন, “তথ্য ও ভিডিও সংগ্রহ করা আমাদের কাজ। সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বারবার বাঁধা দেন সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের আইনজীবী ফখরুল ইসলাম। একপর্যায়ে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ক্যামেরা ভাঙচুরের চেষ্টা পর্যন্ত করেন।”
কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহাফুজার রহমান বলেন, “তিনি একজন আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে এজলাসের ভেতরে ভূমিকা পালন করতে পারেন। কিন্তু আদালতের বাইরে তিনি আইন লঙ্ঘন করে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজ বাধাগ্রস্ত করেছেন। আমরা কুড়িগ্রামের সাংবাদিকদের পক্ষে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
এই বিষয়ে কথা হলে সিনিয়র আইনজীবী ফখরুল ইসলাম বলেন, “আপনাদের তো শতশত ক্যামেরা আছে। ফুটেজ দেখুন, কে ক্যামেরা ভাঙচুর করতে গিয়েছিল। ক্যামেরা ভাঙচুরের বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা আমাদের দায়িত্বে কাজ করি, আপনারা আপনার দায়িত্বে। এছাড়া কেন ফোন দিয়েছেন? কোন আইনে ফোন দিয়েছেন? সাংবাদিকরা কি দেশটি দখল করেছেন, না পুরো দেশকেই নিয়ন্ত্রণ করতে চান? আমরা আপনার রাজ্যের প্রজা নই।”