কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার পাওয়া গেছে রেকর্ড পরিমাণ টাকা। মসজিদের ১০টি দানবাক্স ও একটি ট্যাংক খুলে ২৯ বস্তা টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গণনার পর পর্যন্ত ৬ কোটি টাকার হিসাব পাওয়া গেছে। তবে গণনার কাজ এখনও চলছে।
পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের নেতৃত্বে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুবেল মাহমুদ, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
গণনার কাজ শুরু হয় মসজিদ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায়। এ কাজে অংশ নেন রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, ১৩৩ জন মাদরাসার ছাত্র, ঐতিহ্যবাহী জামিয়া এমদাদিয়া মাদরাসার ১৫০ জন ছাত্র এবং ব্যাংকের ৮০ জন কর্মকর্তা। এছাড়া মসজিদ কমিটির ১০ সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, মসজিদ প্রাঙ্গণের খোলা জায়গায় নামাজ পড়তে রোদ-বৃষ্টির অসুবিধা দূর করতে এবং এলাকাবাসীর প্রয়োজন মেটাতে আন্তর্জাতিক মানের ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর জন্য পাশে থাকা কিছু জমি ক্রয় করা হবে।
এর আগে, গত ১৭ আগস্ট পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন তিন মাস ২৬ দিনে মোট ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া গিয়েছিল।
জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে প্রতিষ্ঠিত পাগলা মসজিদ বর্তমানে তিন একর ৮৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিস্তৃত। দেশ-বিদেশ থেকে আসা অসংখ্য মানুষ এখানে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, এমনকি হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন সামগ্রী দান করেন।
পাগলা মসজিদ তার ঐতিহ্য এবং জনমানুষের দানের জন্য দেশে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে।