বিশেষ প্রতিবেদন (চট্টগ্রাম):-
চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল (পিসিটি) পুরোদমে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি আমদানি পণ্যবোঝাই কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য টার্মিনালটিতে স্ক্যানার স্থাপন করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে দুটি বিদেশি জাহাজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে আমদানি পণ্য বোঝাই শতাধিক কন্টেনার খালাস করা হয়েছে। আমদানি পণ্যের কন্টেনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করার আগে টার্মিনালটির কোন কোন পয়েন্টে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি তা চিহ্নিত করতে কাজ চলছে। কী গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অত্যাধুনিক ইকুইপমেন্ট বহরও গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। পিসিটিতে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কন্টেনার টার্মিনাল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে পিসিটি। চিটাগাং ড্রাইডক লিমিটেডের পাশ থেকে বোট ক্লাব পর্যন্ত আগের বিমানবন্দর সড়কের বাঁকগুলো সোজা করে উদ্ধার করা নদীপাড়ের ৩২ একর জায়গায় পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়।
এই টার্মিনালের তিনটি জেটিতে চট্টগ্রাম বন্দরের এযাবতকালের সবচেয়ে বড় জাহাজগুলোকে অনায়াসে বার্থিং দেওয়া যাবে বলে উল্লেখ করে সূত্র বলেছে,বাড়তি গভীরতার পাশাপাশি চ্যানেলে কোনো বাঁক না থাকায় পিসিটি বড় জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা পাবে। এই টার্মিনালে ২০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের এবং ১০ মিটারের বেশি ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে এনসিটি, সিসিটির দূরত্ব ১৪–১৫ কিলোমিটার। আর পিসিটির দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার। এটা বন্দরের বিদ্যমান টার্মিনালগুলোর তুলনায় পিসিটিকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
ঢাকা প্রেস: ছবি ও তথ্য সংগৃহীত।