তিন মাসের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন যাচাই শুরু: রাজউক চেয়ারম্যান

প্রকাশকালঃ ১৬ মে ২০২৩ ০৫:৩১ অপরাহ্ণ ১৬০ বার পঠিত
তিন মাসের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন যাচাই শুরু: রাজউক চেয়ারম্যান

গামী তিন মাসের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো যাচাইয়ের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা। তিনি বলেন, যাচাইয়ের মাধ্যমে ভবনগুলোর মূল্যায়ন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গত সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ভূমিকম্প-ঝুঁকিতে ঢাকা, গণমাধ্যমের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজউক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন যাচাইয়ের জন্য তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ দেওয়া হবে। এই তৃতীয় পক্ষ নির্বাচনের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি হবে, যাদের সমাজে গ্রহণযোগ্যতা আছে। কারণ, তৃতীয় পক্ষ নির্বাচনে প্রশ্নের মুখোমুখি হলে সব ভন্ডুল হয়ে যাবে।


অনেকগুলো তৃতীয় পক্ষ হবে জানিয়ে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, যাচাইয়ের মাধ্যমে তারা ভবনগুলোর মূল্যায়ন করবে; কোনগুলো ভাঙা হবে এবং কোনগুলো পুনরায় রেট্রোফিটিং (সংস্কার) করা যাবে। এসব নিয়ে তারা প্রতিবেদন দেবে।

আনিছুর রহমান মিঞা জানান, নতুন ভবন করার সময় নিয়মের যেন ব্যত্যয় না ঘটে, সে জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা। অকুপেন্সি সার্টিফিকেট (ব্যবহার বা বসবাস সনদ) আছে কি না, তা দেখা হবে। এটা ছাড়া নতুন ভবন করার সময় বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংযোগ পাবে না। সেটা রাজউকসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হবে।


হাতিরঝিল এলাকার মালিকেরা কিছুটা প্লট ছেড়ে দিলে আরও একটি সার্ভিস লেন করে দেওয়া যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ, অনেকেই বাড়ি বানাতে পারছেন না। তাঁদের নিয়ে রাজউক বসবে।

রাজউক ২০২০-২১ সালে ২০৪টি, ২০২১-২২ সালে ২৮৮টি এবং ২০২২-২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ১ হাজার ৪১৯টি ভবন উচ্ছেদ করা হয়েছে জানিয়ে আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, দেশের আইন মানতে হবে। না মানলে শাস্তি পেতে হবে। উচ্ছেদের ব্যয় মালিকের কাছ থেকেই আদায় করা হচ্ছে। আইন মানাতে হবে এবং এর জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা আছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী, ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক আলী আহম্মেদ খান, স্থপতি ইকবাল হাবীব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।