গানম্যান পেলেন নাহিদ হাসনাত সারজিস জারা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ০২:০১ অপরাহ্ণ   |   ০ বার পঠিত
গানম্যান পেলেন নাহিদ হাসনাত সারজিস জারা

চব্বিশের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যু্ক্ত থাকা ব্যক্তিত্ব, সমন্বয়ক, সংসদ-সদস্য প্রার্থী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

 

এর অংশ হিসেবে আন্দোলনের সম্মুখসারিতে থাকা কয়েকজনকে গানম্যান (নিরাপত্তারক্ষী) দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তাদের আত্মরক্ষার প্রয়োজনে ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

পুলিশের সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই তালিকায় রয়েছেন- অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা ও মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

 

এছাড়া, বেশ কয়েকজন রাজনীতিক ও সংসদ-সদস্য প্রার্থী গানম্যান ও অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছেন।

 

তাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান জন্য সার্বক্ষণিক গানম্যান ও বাসভবনের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র পুলিশ সদস্য চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।

 

নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহম্মেদ সেখ প্রমুখের জন্যও।

 

এর বাইরে, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার থাকা শহীদ ওসমান হাদির পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ নিরাপত্তা।

 

হাদির এক বোন পাচ্ছেন লাইসেন্স ও গানম্যান। অন্য সদস্যদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের উচ্চপর্যায়ের সূত্র গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 

এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে- নিরাপত্তা, গানম্যান অথবা অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ জন রাজনীতিবিদের আবেদন তাদের কাছে এসেছে। সংখ্যাটি দিন দিন বাড়ছে।

 

অনেকে খোঁজ নিচ্ছেন, কীভাবে আবেদন করতে হয়। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি ২৫ জনের মতো সরকারি কর্মকর্তাও অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন।

 

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের মধ্যে যারা নিরাপত্তা সহায়তা চেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

 

তবে সবাই পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে নিরাপত্তা আবেদন করছেন না। কেউ এসবির মাধ্যমে, আবার কেউ ডিএমপিসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের মাধ্যমে নিরাপত্তা সহায়তা চাইছেন।

 

বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) রাজনৈতিক বিভাগের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের যাদের গ্যানম্যান প্রয়োজন তারা এসবির মাধ্যমে আবেদন করেন তারপর আমরা বিষয়টি বিবেচনা করে যাদের দেওয়ার প্রয়োজন তাদেরকে দিয়ে থাকি।

 

তিনি আরও বলেন, যদিও কেউ অস্ত্র চাই সে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসক দেখে থাকেন।

 

এদিকে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) উর্ধতন আরেক কর্মকর্তা বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বেশ কয়েকজন নেতা, এদের মধ্যে নাহিদ, হাসনাত, সারজিস, তাসনিম জারা এবং ব্যারিস্টার ফুয়াদসহ বেশ কয়েকজন গানম্যানের আবেদন করেছেন।

 

তাদের আবেদনগুলো বিবেচনাও করা হচ্ছে। তাদেরকে গানম্যান সুবিধা দেওয়া হবে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অফিশিয়ালি এখনো কাউকে গানম্যান দেওয়া হয়নি। তবে ডিএমপি এবং এসবির পক্ষ থেকে যাদের দেওয়া হয়েছে সেগুলো আনঅফিশিয়ালি এবং অস্থায়ীভাবে। তাদের আবেদন মন্ত্রণালয় পেলে তাদের স্থায়ী নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।