রড ছাড়াই রাতের আঁধারে সড়ক ঢালাই, ক্ষোভের মুখে ঠিকাদারের পলায়ন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২০ জুলাই ২০২৫ ০৮:১৮ অপরাহ্ণ   |   ৩৫ বার পঠিত
রড ছাড়াই রাতের আঁধারে সড়ক ঢালাই, ক্ষোভের মুখে ঠিকাদারের পলায়ন

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় রাতের অন্ধকারে রড ছাড়াই আরসিসি সড়কে ঢালাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে কাজ ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন ও শ্রমিকেরা। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে উলিপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাজমার বাড়ির সামন থেকে নাড়িকেলবাড়ী খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের একাংশে এ ঘটনা ঘটে।

 


 

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (আইইউজিআইপি) আওতায় পৌর সদরের ওই সড়কে আরসিসি ও ড্রেন নির্মাণে বরাদ্দ হয় প্রায় ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। প্রায় ২ হাজার ২০ মিটার সড়কের মধ্যে ৬৭৫ মিটারে কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে। প্রকল্পটি পায় নোয়াখালীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড সন্স। তবে কাজ পরিচালনা করছেন লালমনিরহাটের শাহাদৎ হোসেন ও কুড়িগ্রামের রব্বানী নামের দুই সাবঠিকাদার।
 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুরু থেকেই ধীরগতিতে কাজ চলছে। প্রয়োজনীয়সংখ্যক শ্রমিক না থাকায় দীর্ঘদিন সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির পর তা অপরিচালনাযোগ্য হয়ে পড়ে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে কাজ বন্ধ রাখা হয়।
 

এলাকার মঞ্জুরুল করিম, রফিকুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, বিলকিস বেগম ও শিরিন খান অভিযোগ করেন, গতকাল রাতে প্রকৌশলীদের যোগসাজশে ঠিকাদার রড ছাড়াই প্রায় ১৫ মিটার সড়কে ঢালাই করেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলে শ্রমিকেরা তা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যান। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ জনতা জড়ো হলে ঠিকাদারের লোকজন পালিয়ে যান। ঘটনার পর দুই সাবঠিকাদার শাহাদৎ হোসেন ও রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি।
 

উলিপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম রাতে ঢালাইয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, শ্রমিক কম থাকায় রড বসিয়ে ঢালাই করা সম্ভব হয়নি। অতিরিক্ত ঢালাইসামগ্রী পড়ে যাওয়ায় তা রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটা ছোট ঘটনা, এ নিয়ে শোরগোল না করাই ভালো।
 

এ বিষয়ে উলিপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার সাহা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।