সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার ফোন পেয়ে বাধ্য হয়ে মোটর শোডাউন বাতিল করে হেঁটে বিজয় র্যালি করেছেন লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী জিএস মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে মিলিত হয়।
র্যালিতে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে লালমনিরহাট ২ (আদিতমারী কালীগঞ্জ) আসনে ভোটে অংশ নিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
মঙ্গলবার বিকেলে মোটরসাইকেল শোডাউনে বিজয় র্যালির আয়োজন করে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামীলীগ। সেই বিজয় র্যালিটি পুরো উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ করার ঘোষণাও দেওয়া হয় বলে আগত নেতাকর্মীদের দাবি।
তাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার নেতাকর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে দুপুরের আগে আদিতমারী জিএস মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে জড়ো হন।
বিজয় র্যালির নামে ব্যাপক শোডাউন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এমন খবরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকী নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে ফোনে সতর্ক করেন।
পরে মোটরসাইকেল শোডাউন থেকে সরে আসেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী। পরে ওই মাঠে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে হেঁটে বিজয় র্যালি করেন তিনি। তবে তার আগে আয়োজক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মন্ত্রীর সহকারী ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হতে পারে তাই মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে আমরা বিজয় র্যালি স্বল্প পরিসরে ও হেঁটে করব। এসময় নৌকার স্লোগান না দিতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
তবে অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রীর সহকারী ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমাদের মন্ত্রী মহোদয় আইনের প্রতি খুবই আস্থাশীল। শোডাউন করলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হতে পারে। তাই স্বল্প পরিসরে বিজয় র্যালি করা হয়েছে।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় বসাতে আসন্ন নির্বাচনে নৌকার বিজয়কে সুনিশ্চিত করতে সবার কাছে আহ্বান জানান প্রধান অতিথি নৌকার মাঝি সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
