মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে প্রায় ৩৯০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন একজন বিচারক।
নিউ ইয়র্ক রাজ্যের বিচারক আর্থার এনগোরন শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই রায় দেন। রায়ে তিনি বলেন, ট্রাম্প অর্গানাইজেশন "জালিয়াতি চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা" রয়েছে যদি তাদের উপর "তাৎপর্যপূর্ণ" শাস্তি না দেওয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বিচারকের কাছে ট্রাম্পকে জরিমানা করার পাশাপাশি এই অঙ্গরাজ্যে যাতে তিনি ব্যবসা করতে না পারেন, সেই আরজিও জানিয়েছেন। আইনি বিশেষজ্ঞরা বলেন, যত বড় ধনকুবেরই হোন না কেন, এটি তাঁর জন্য একটি বড় অঙ্ক। চূড়ান্ত রায়ে এমনটা হলে এটি ট্রাম্পের আবাসন ব্যবসার সাম্রাজ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে, এমনকি ট্রাম্পের অর্থবিত্তে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে।
সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর দিয়ানা ফ্লোরেন্স বলেন, তিনি হঠাৎ করেই শ্রমিক হয়ে যাবেন না। তবে এটা বিপুল নগদ অর্থের বিষয়। এতে তাঁর ভবিষ্যৎ উল্লেখযোগ্যভাবে টালমাটাল হবে।
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস বলেন, ‘আমাদের কাছে পাহাড়সম প্রমাণ আছে, যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যাবে যে ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীরা ঋণ ও বিমার সুবিধা পেতে কীভাবে তাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ এবং সেই সম্পদের প্রকৃত মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন।’লেটিটিয়া জেমস আদালতকে বলেন, ৩৭ কোটি ডলার উপযুক্ত জরিমানা, যা তিনি দিতে বাধ্য। এর মধ্যে জালিয়াতি করে যে পরিমাণ অর্থ আদায় করেছেন, তা-ও রয়েছে।
তবে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। কারণ, ব্যাংকগুলো তাঁর বিনিয়োগ দিয়ে অর্থ আয় করেছে। তিনি আপিল করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে উচ্চ আদালত মামলাটি পর্যালোচনা না করা পর্যন্ত এই রায় স্থগিত থাকবে।
আর আপিল চলাকালে ট্রাম্প জরিমানা বা ব্যক্তিগত সম্পদ জব্দ এড়াতে চাইলে তাঁকে ৩০ দিনের মধ্যে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।