প্রকাশকালঃ
২৫ মার্চ ২০২৩ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ ১৭৮ বার পঠিত
রমজান মাস বরকত ও কল্যাণের মাস। আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ লাভের মাস। এই মাসে আল-কোরআন নাজিল হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘রমজান মাস, যে মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াত এবং সুপথপ্রাপ্তির সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই এর রোজা রাখে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন রমজান মাসের প্রথম রাতের আগমন ঘটে তখন দুষ্ট জিন ও শয়তানদের বন্দি করা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না এবং জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না। আর একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে—হে কল্যাণের প্রত্যাশী, অগ্রসর হও, হে অকল্যাণের প্রার্থী, থেমে যাও। আর আল্লাহ তাআলা এ মাসের প্রতি রাতে অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দান করেন। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৬৮২)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, রমজান মাস উপলক্ষে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য চারটি উপহারের কথা বর্ণিত হয়েছে।
এক. দুষ্ট জিন ও শয়তানদের বন্দি করা হয়, যাতে তারা মুমিন বান্দার অন্তরে ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করতে না পারে এবং মুমিন বান্দা নির্বিঘ্নে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারে।
দুই. জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না এবং জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না। জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া মানে পাপ ও অকল্যাণের দরজা বন্ধ করে দেওয়া। আর জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া মানে ভালো ও কল্যাণের দরজা খুলে দেওয়া।
তিন. আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে—হে কল্যাণের প্রত্যাশী, অগ্রসর হও; হে অকল্যাণের প্রার্থী, থেমে যাও। এই মাস কল্যাণের মাস। বরকত ও পুণ্যের মাস। তাই কল্যাণ-প্রত্যাশীরা আরো যেন আগ্রহী ও উদ্যমী হয়। তারা যেন ইবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং অকল্যাণের প্রার্থীরা যেন সংযমী হয়। তারা যেন পাপের মাত্রা কমিয়ে ফেলে।
চার. আল্লাহ তাআলা এ মাসের প্রতি রাতে অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দান করেন। বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার দয়ার অন্যতম আরেকটি নিদর্শন হলো, তিনি রমজান মাসের প্রতি রাতে অসংখ্য বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন