প্রকাশকালঃ
১৭ এপ্রিল ২০২৪ ০২:০০ অপরাহ্ণ ২৪৭ বার পঠিত
মুমিন জীবনের সব ক্ষেত্রে তা-ই করে, যা আল্লাহ পছন্দ করেন। কেননা মুমিনজীবনের সব কিছু আল্লাহর নিবেদিত। মহান আল্লাহর প্রতি মুমিনের নিবেদন হলো, ‘বলুন! আমার নামাজ, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও আমার মরণ জগত্গুলোর প্রতিপালক আল্লাহর উদ্দেশ্য।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১৬২)
নিম্নে মুমিন জীবনের পবিত্রতার নানা দিক তুলে ধরা হলো।
বিশ্বাসের পবিত্রতা
মহান স্রষ্টা ও তাঁর সৃষ্টির ব্যাপারে ভুল বিশ্বাস লালন করা হলো বিশ্বাসের অপবিত্রতা। মুমিন বিশ্বাস ও মননে অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক। সুতরাং তারা যেন এই বছরের পর আর মসজিদুল হারামের নিকটবর্তী না হয়।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ২৮)
কাজের পবিত্রতা
মুমিন তার দৈনন্দিন কাজ ও আমলের ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করে এবং অশ্লীলতা, কলুষতা, নোংরামি ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কাজ পরিহার করে। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর ঘৃণ্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো। যাতে তোমরা সফল হও।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৯০)
খাবারের পবিত্রতা
পানাহারে মুমিনরা পবিত্রতা রক্ষা করে। আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসুলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু থেকে আহার করো এবং সৎকাজ করো। তোমরা যা করো সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবগত।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত ৫১)
ইবাদত প্রার্থনায় অংশগ্রহণের আগে মুমিন পবিত্রতা অর্জন করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! যখন তোমরা নামাজের জন্য প্রস্তুত হবে, তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ করবে; পা গ্রন্থি পর্যন্ত ধৌত করবে। যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হবে।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৬)
ব্যক্তিগত জীবনে পবিত্রতা
শুধু ঈমান ও ইবাদতের ক্ষেত্রে নয়, বরং মুমিন একান্ত ব্যক্তিগত জীবনেও পবিত্রতা রক্ষা করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘লোকে তোমাকে রজঃস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, তা অশুচি। সুতরাং তোমরা রজঃস্রাবকালে স্ত্রী সংগম বর্জন করবে এবং পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী সংগম করবে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২২)