আরও ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশকালঃ ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৫৪ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
আরও ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ও সন্তানদের বিরুদ্ধে ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পৃথক তিনটি মামলা করেছে।
 

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা সম্পদ বিবরণী জমা দেন।
 

প্রথম মামলায় আসামি হিসেবে লায়লা কানিজ ও মতিউর রহমানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, লায়লা কানিজ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
 

দ্বিতীয় মামলায় তাদের মেয়ে ফারজানা রহমানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার সম্পদ গোপন এবং ৫৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে মতিউর রহমানকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
 

তৃতীয় মামলায় প্রথম স্ত্রীর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন ও ৪২ কোটি ২২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায়ও মতিউর রহমানকে সহযোগী আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
 

এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর মতিউর রহমান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে ১১ কোটি ১৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ গোপনের অভিযোগে দুইটি মামলা করা হয়।
 

এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউরের বিরুদ্ধে প্রথম মামলায় ৫ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ এবং ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার সম্পদ গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় মতিউরের স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সম্পদ গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এসব মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ও ২৬ (২) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
 

এদিকে, ঈদুল আজহার আগে মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের একটি ছাগল ১৫ লাখ টাকায় কেনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে, এনবিআরের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আরও জোরালো হয়ে ওঠে। এরপর থেকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদ নিয়ে আলোচনা শুরু হয় এবং একের পর এক তাদের বিত্তবৈভবের তথ্য প্রকাশ্যে আসে।