সোমবার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।
স্ট্যাটাসে নুর লেখেন, “দেশে থাকা আওয়ামী লীগের ভাইদের বলব— স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বিদেশে নিরাপদে থাকা শত শত কোটি টাকার মালিক নেতাদের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে রাস্তায় নেমে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলবেন না। রাস্তায় নেমে বিপ্লবী জনতার হাতে ধরা পড়লে নেতা হাসপাতালে দেখতে আসবে না, জেলে গেলে কলা-রুটিও পাঠাবে না। মুখোশ পরে গুপ্ত মিছিল করার দরকার নেই— ধরা পড়লে জনগণের ধোলাই কিন্তু ভয়াবহ হবে।”

তিনি আরও লেখেন, “আওয়ামী লীগের আমলে আমরা বিরোধীদলের কর্মীরা— বিএনপি, জামায়াত ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা— যেভাবে নির্যাতিত হয়েছি, তার তুলনায় আপনারা অনেক ভালো আছেন। আমার মনে হয়, চুপচাপ থাকলে আরও ভালো থাকবেন, উৎপাত করলে বিপদ ডেকে আনবেন।”
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি আরও বলেন, “বিদেশে পালিয়ে থাকা নেতাদের কথায় উত্তেজিত হয়ে মাঠে নামার কোনো মানে নেই। আওয়ামী লীগ আগামী ৫০ বছরেও এ দেশের রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে না। ১৯৭৫-এ শেখ মুজিবের পর ২০২৪-এ তাঁর মেয়ে হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সমাপ্তি ঘটেছে। এখন বিচারিক প্রক্রিয়ায় এই দলের দাফন-কাফন সম্পন্ন হবে।”
শেষে নুর আহ্বান জানান, “মরা লাশের পেছনে না ছুটে নতুন দিনের সম্ভাবনার সঙ্গে থাকুন। নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে আমরা সবাই মিলেই হাঁটব— যেখানে থাকবে না ক্ষমতালোভী খুনি শাসক, থাকবে না ফ্যাসিবাদের ছায়া। থাকবে গণতন্ত্র, দেশপ্রেম, সততা আর মানবিকতার রাজনীতি।”