ভুট্টাক্ষেতে মিলল আ.লীগ কর্মীর ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৬ অপরাহ্ণ   |   ১৩ বার পঠিত
ভুট্টাক্ষেতে মিলল আ.লীগ কর্মীর ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ভুট্টাক্ষেত থেকে মাসুদ হাসান রনজু (২৫) নামে এক কলেজছাত্রের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত ৮টায় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
 

নিহত মাসুদ হাসান রনজু দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের বদনপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল মীরের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজিজুল মীর আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এটি রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
 

ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা এবং দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
 

দামুড়হুদা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান জানান, নিহতের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত দেয়।
 

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, রোববার সকালে একই গ্রামের হুমায়ুন কবীরের স্যালো মেশিনে পানি দিতে যান মাসুদ হাসান রনজু। স্যালো মেশিন চালু করে দিয়ে হুমায়ুন কবীর বাড়ি চলে যান, আর মাসুদ একাই ভুট্টার জমিতে সেচের কাজ করছিলেন। দুপুরের পরও বাড়ি না ফেরায় তার বাবা আজিজুল মীর ছেলের জন্য খাবার নিয়ে মাঠে যান। সেখানে ডাকাডাকি করেও তাকে না পেয়ে ফিরে আসেন এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসা করেন। জানতে পারেন, রনজু এখনও ফেরেনি। মোবাইলে একাধিকবার কল করেও কোনো সাড়া পাননি।
 

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পুনরায় মাঠে গিয়ে তারা স্যালো মেশিনের পাশে রনজুর মোবাইল ফোন ও স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে ভুট্টাক্ষেতের মধ্যে তার রক্তাক্ত মরদেহ খুঁজে পান।
 

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, "প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে এখনও নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি এবং কাউকে আটক করা যায়নি। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক ইউনিট কাজ করছে।"