পেট্রোবাংলা আগামী চার বছরে স্থলভাগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ২২ হাজার ৮২২ কোটি টাকা খরচ করবে।
এর মধ্যে ১০০ টি নতুন কূপ খননের জন্য ১৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
এই কূপগুলো থেকে ৪৮.৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে।
৩ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা ব্যয় করে টুডি ও থ্রিডি সাইসমিক সার্ভে (ভূকম্পন জরিপ) করা হবে।
২০৩০ সালে দেশের দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৫০০ কোটি ঘনফুটে পৌঁছাবে।
পেট্রোবাংলা সরবরাহ করতে পারবে ৪৩৫ কোটি ঘনফুট।
স্থলভাগের গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাওয়া যেতে পারে ২১২ কোটি ঘনফুট।
সমুদ্রের গ্যাসব্লক থেকে ১০ কোটি এবং এলএনজি থেকে ২১৩ কোটি ঘনফুট গ্যাস মিলবে।
২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভারের (সংস্কার) পরিকল্পনা রয়েছে।
২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১০০ টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।
নতুন সম্ভাব্য এলাকায় গ্যাসের মজুত চিহ্নিত করতে আগামী কয়েক বছরে ১০ হাজার ২২৫ লাইন কিলোমিটার টুডি ও ৭ হাজার ৮৫৪ বর্গকিলোমিটার থ্রিডি সাইসমিক সার্ভে করা হবে।
স্থলভাগে ২২টি গ্যাস ব্লক রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি উন্মুক্ত রয়েছে।
এই ব্লকগুলোতে বাপেক্স ছাড়াও বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে পেট্রোবাংলা।
পেট্রোবাংলা দেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান।
দেশের বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা দিনে ৩৮০ কোটি ঘনফুট।
পেট্রোবাংলা দিতে পারে কমবেশি ৩০০ কোটি ঘনফুট।
দেশের স্থলভাগের গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাওয়া যাচ্ছে কম-বেশি ২০০ কোটি ঘনফুট।
পেট্রোবাংলার নতুন পরিকল্পনা দেশের গ্যাসের ঘাটতি মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পরিকল্পনাটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা সম্ভব হবে।
তবে, পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত তহবিলের অভাব, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সমস্যা,