আজ রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া অন্য তিনজন হলেন—সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন।
আসামিদের আদালতে হাজির করার সময় প্রাঙ্গণে উপস্থিত লোকজন ‘চাঁদাবাজ, চাঁদাবাজ’ স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় লজ্জিত হয়ে মাথা নিচু করে রাখেন গ্রেপ্তার ছাত্রনেতারা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই বিকেলে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে শাম্মী আহমেদের গুলশান-২-এর বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ ও ‘স্বৈরাচারের সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন তারা। ভীত হয়ে ওইদিন বাদীপক্ষ তাদের ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন।
পরে ১৯ জুলাই আবার বাকি ৪০ লাখ টাকার জন্য বাসায় আসে অভিযুক্তরা। সর্বশেষ ২৬ জুলাই রাতে তারা আবার চাঁদা ও স্বর্ণালঙ্কার নিতে গুলশানের বাসায় গেলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশে খবর দেন। পরে গুলশান থানা পুলিশ আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ পাঁচজনকে আটক করে। অভিযুক্ত কাজী গৌরব অপু সেদিন পালিয়ে যায়।
শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর এ ঘটনায় গুলশান থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিরা হলেন—আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন এবং একজন শিশু, মো. আমিনুল ইসলাম, যার বিচার শিশু আদালতে হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁদাবাজির ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য আসামিদের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চারজনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।