৮৫ টাকা জমা দিয়ে মাসে ৫০০ টাকা করে বৃত্তি পাবে শিক্ষার্থীরা
প্রকাশকালঃ
০৭ মার্চ ২০২৪ ১১:২২ পূর্বাহ্ণ ১৪৭ বার পঠিত
দেশে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমার’ আওতায় কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবকের শারীরিক অক্ষমতা বা মৃত্যুতে বয়স ১৭ বছর হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে বৃত্তি দেয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমার আওতায় যুক্ত হয়ে একজন শিক্ষার্থীকে বছরে ৮৫ টাকা জমা দিতে হবে। বিমা সচল থাকা অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের শারীরিক অক্ষমতা বা মৃত্যু হলে ১৭ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত মাসে ৫০০ টাকা করে বৃত্তি পাবে ওই শিক্ষার্থী।
দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এই বিমার আওতায় আনতে ইতোমধ্যেই সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী গত সোমবার ওই চিঠি পাঠান।
ডিসিদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা’ পরিকল্পটির উদ্বোধন করেন। আইডিআরএ’র তত্ত্বাবধানে এ বিমা পরিকল্পটি জীবন বীমা করপোরেশনের মাধ্যমে প্রথমে দুই বছরের জন্য সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়, ২০২৩ সালে তা উন্মুক্ত করা হয়।
এর আগে ২০২১ সালে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমার’ উদ্যোগ বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। বর্তমানে সব জীবনবিমা কোম্পানির মাধ্যমেই এ পলিসির আওতায় আসা সম্ভব। এর উদ্দেশ্য হলো- দেশের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করা।
এতে জানানো হয়, ৩ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীর মা-বাবা বা আইনগত অভিভাবক এই বিমার আওতায় আসতে পারবেন। এ জন্য বছরে ৮৫ টাকা প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হবে। আর পলিসি চালু থাকাকালে কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবকের শারীরিক অক্ষমতা বা মৃত্যুতে ওই শিক্ষার্থীর বয়স ১৭ বছর হওয়া পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি দেয়া হবে। যা দিয়ে ওই শিক্ষার্থী নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন।
জেলা প্রশাসকেরা উদ্যোগ নিলে শিক্ষার্থীদের এ বিমার আওতায় আনা সহজ হবে উল্লেখ করে চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, বেসরকারি জীবনবিমা কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে ইতোমধ্যেই প্রায় ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী এই বিমার আওতায় এসেছে। এছাড়াও চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সব স্কুল ও কলেজের প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থীকেও এই বিমার আওতায় আনা হয়েছে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে।