ঢাকা প্রেস
জিহাদ হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি ( নারায়ণগঞ্জ):-
নারায়ণগঞ্জ মুসলিম নগর বক্তা বলি রোডের বাসিন্দা, আহসান উল্লাহ কসাই এখনো রয়েছে ধরাছোয়ার বাহিরে।জানা যায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকা কালিন নানা রকম অনৈতিক কাজে তিনি এবং পরিবারের সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। এবং তার সেল্টার দাতা হিসেবে ছিল, আজমেরী উসমান , মাসদাইর নিবাসী রকমত,একই এলাকার মাদবর জামাল-কামাল এবং নরসিংপুর বাড়ির আওয়ামী লীগের নেতা গিয়াসউদ্দিন।
তাদের দাপটেই আহসান উল্লাহ কসাই গত ২৩ এ নভেম্বর ২০১০ ইং দুপুরে নান্টু নামের এক ব্যক্তিকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় তার ভাই সানাউল্লাহ অমানুষিক নির্যাতন করে, এবং ঘটনা স্থান পুলিশ নান্টুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এবং ২৫ নভেম্বরে নান্টু মারা যায়। এই খুন ধাপাচাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় থানা সহ সকল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বেশ মোটা অংকের টাকা দেয় আহসান উল্লাহ কসাই ।স্থানীয় সূত্রে যানা যায়,নান্টুর ছেলে সহ বেশ কিছু ছেলেদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়, এই বিষয়কে কেন্দ্র করে আহসান উল্লাহর ভাই সানাউল্লাহ বর্তমানে( ১নং রেইল গেইট মাংস বিক্রি করে) সে নান্টুকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় এর পরে প্রথমে নিজের পরিবারকে দিয়ে গনহারে মারধর করে এবং পরবর্তীতে অস্পর্শ কাতর স্থানে আঘাত করলে নান্টু পানি খাওয়ার জন্য আকুতি করে, পানি খাওয়ার পরে নান্টু মাটিতে ঢলে পরলে তারাই আবার স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয়।পুলিশ এসে তাকে নারায়নগন্জে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করলে সে ২৫ তারিখ মারা যায়।মৃত নান্টুর তিনটি সন্তান ছিলো এবং সে সময় স্ত্রী গর্ভবতী ছিলো।টাকা দিয়ে খুনের দাপাচাপা দেওয়ায় আহসান উল্লাহ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। নান্টুকে খুন করেও শান্ত হয় নি। দিনের পর দিন তার সহ যোদ্ধাদের দিয়ে একের পর এক অন্যায় করেই যাচ্ছে তিনি কখনো ওয়াসিম,সোহেল,রাসেল,ওরফে(ইন্দুর) এদের দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা। বর্তমানেও তা বিদ্যমান রয়েছে।একই এলাকার মৃত আলী হোসেন এবং নুর হোসেনের জমি কব্জা করে, সেখানে নিজেই গড়ে তুলেছেন বহুতল বভন। আওয়ামী লীগের দাপটে গড়েছেন ৭ টির ও বেশি বাড়ি।বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সকল নেতাকর্মীরা যখনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, এখোনো নিজ বাড়িতেই অবস্থান করেছে আহসান উল্লাহ কসাই। এবং তুলে নিয়ে নান্টুকে খুন করেও দিব্যি দিগুবাজারে ব্যবসা করছে তার ভাই সানাউল্লাহ কসাই।অতি দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয় বাসী।